শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের দিকেই তাকিয়ে মাশরাফি
মানছেন কোহলিবিহীন ভারতও বাকিদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। পাকিস্তানও বেশ ভাল দল। যারা শক্তিসামর্থ্যে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। তাই বলে এখনই রণে ভঙ্গ দেয়ার কথা ভাবছেন না মাশরাফি। তার বিশ্বাস শক্তিতে খানিক পিছিয়ে থাকলেও ওই দুই দলকে হারানোর পর্যাপ্ত সামর্থ্য রয়েছে বাংলাদেশের।
যার প্রমাণ অতীতেও দিয়েছে টাইগাররা। প্রয়োজন শুধু নির্দিষ্ট দিনে নিজেদের সামর্থ্যের ছাপ রাখা। যার শুরুটা টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ থেকেই করতে চায় বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ১৫ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে টাইগাররা। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বাংলাদেশ অধিনায়কের চিন্তা চেতনায় এখন কেবলই সেই ম্যাচ।
বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি জানান টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও সামর্থ্যের কথা। যার পুরোটা জুড়েই ছিল প্রথম ম্যাচ। বাংলাদেশ দলের অনেক ক্রিকেটার এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া লক্ষ্যের কথা জানালেও অধিনায়ক এখনই এমনটা বলতে চান না।
এর চেয়ে বরং ম্যাচ বাই ম্যাচ এগুনোর কথা ভাবছেন মাশরাফি। আর তার চোখে এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি। মাশরাফি বলেন, ‘এখনই কোন কিছু বলতে চাই না। শ্রীলঙ্কার সাথে প্রথম ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। ভারত অনেক শক্তিশালী, পাকিস্তানও ভাল দল। তবে আমি মনে করি এই দুই দলকে হারানো সম্ভব, আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। আমরা এই দুই দলের চেয়ে খুব বেশি পিছিয়ে নেই।’
২০১২ ও ২০১৬ সালের আসরে ঘরের মাঠে রানারআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। এবারের আসরেও বেশ সমীহ জাগাচ্ছে টাইগাররা। দলের অন্য ক্রিকেটাররাও জানিয়েছে চ্যাম্পিয়ন হতেই খেলতে যাওয়ার প্রত্যয়। তবে অধিনায়ক সেসব মাথায় না রেখে নতুন আসরে নতুন ভাবে শুরু করার কথাই জানান।
‘আগে দুইবার আমরা ফাইনাল খেলেছি এটা তেমন প্রভাব ফেলবে না। কারণ এটা নতুন টুর্নামেন্ট, নতুন জায়গা। সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হবে। আমার মূল ভাবনার বিষয় আমরা শুরুটা কিভাবে করবো। আমাদের মূল মিশন শুরু প্রথম ম্যাচ দিয়েই। ১৫ তারিখ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচটাই আমাদের গতিপথ ঠিক করে দেবে।’
মাশরাফি আরও বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে আমাদের চেয়ে ভাল দল আছে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের সামর্থ্য আছে সব দলকে হারানোর। ১৫ তারিখের ম্যাচটা যদি আমরা ভালো ভাবে শুরু করতে পারি তাহলে আমাদের আত্মবিশ্বাসে বাড়তি সাহস আসবে। আমরা লক্ষ্যের দিকে অনেক এগিয়ে যাবো।’
এআরবি/এসএএস/আরআইপি