ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের পেস অ্যাটাক!
দশদিন পর দুবাইতে বসবে এশিয়া কাপের এবারের আসর। সেলক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের দুই প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। গ্রুপ পর্ব পার করলে দ্বিতীয় রাউন্ডে মিলবে ভারত-পাকিস্তানের দেখা।
তবে টাইগারদের চিন্তা-চেতনায় এখন প্রথম রাউন্ডের বাঁধা পার হওয়ার চিন্তা। এরপর ধাপে ধাপে এগিয়ে শেষ চার বা সেমিফাইনালের ভাবনা। তবে যতোই বলা হোক ধাপে ধাপে এগুনোর কথা, আলোচনার ফাঁকে ঠিকই চলে আসে দ্বিতীয় রাউন্ডে ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার কথাও।
দুবাইয়ের মাঠে উইকেট সাধারণত হয় স্পোর্টিং। স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেলেও পেসারদের জন্যও থাকে বিশেষ কিছু। সেই উইকেটের ফায়দা নিতে এশিয়া কাপের টাইগার স্কোয়াডে থাকা পেসারদের নিয়ে বিশেষ কাজ করছেন পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। ম্যাচের কঠিন পরিস্থিতি মাথায় রেখে অনুশীলনেও সেরকম পরিস্থিতি তৈরি করে বোলিং করানো হচ্ছে পেসারদের।
তবু ভারত-পাকিস্তানের পেসারদের সমকক্ষ বা কাছাকাছি কি পৌঁছতে পেরেছেন টাইগার পেসাররা? সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়ার এই দুই দলের সাফল্যের অন্যতম প্রধান কারণ তাদের পেসাররা। পাকিস্তানের হাসান আলী, মোহাম্মদ আব্বাস কিংবা ভারতের ভুবনেশ্বর কুমার, জাসপ্রতি বুমরাহরা কাঁপিয়ে দেন প্রতিপক্ষের ব্যাটিং অর্ডার। সে তুলনায় টাইগার পেসারদের মধ্যে মাশরাফি বা মোস্তাফিজ ছাড়া বাকিদের সে অর্থে খুঁজেও পাওয়া যায় না।
তবুও নিজেদের পেস অ্যাটাককে খুব একটা পিছিয়ে রাখতে রাজি নন এশিয়া কাপে টাইগার স্কোয়াডের পেস অ্যাটাকের নবীনতম সদস্য আবু হায়দার রনি। ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে ঘোষিত পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে কম অভিজ্ঞতা তারই। সেই রনিই এশিয়া কাপে ভালো সম্ভাবনা দেখছেন নিজেদের অর্থ্যাৎ টাইগার পেসারদের।
মঙ্গলবার এশিয়া কাপের জন্য চলমান প্রস্তুতি ক্যাম্পের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপ কালে উঠে আসে ভারত-পাকিস্তানের সাথে টাইগার পেসারদের তুলনার কথাও। সে কথার জবাবে রনি বলেন, ‘আমাদের আসলে অনেক ভালো সম্ভাবনা আছে। যদি আমাদের পেস বোলিং অ্যাটাক দেখেন শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ওডিআই, টি-টোয়েন্টিতে অনেক ভাল বোলিং করেছে। এই আত্মবিশ্বাস যদি এশিয়া কাপে নিতে পারি। মনোযোগের সঙ্গে বল করতে পারি তাহলে হয়ত অনেক এগিয়েই থাকব আমরা।’
এশিয়া কাপের বাংলাদেশ স্কোয়াডে রনি ছাড়াও পেসার আছে আরও তিনজন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে স্কোয়াডের বাকি তিন পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। চার পেসারে একাদশে সাজালে ডাক পেতে পারেন রনি। স্কোয়াডে থাকলেও ম্যাচের মূল একাদশে থাকাটা যে সহজ হবে না তা জানেন রনিও। তবে এই বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবেই দেখছেন তিনি। প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এগুতে থাকলে নিজের মধ্যেও ভালো করার তাগিদ চলে আসে বলে মনে করেন ২২ বছর বয়সী এ বাঁহাতি পেসার।
রনির ভাষ্যে, ‘এটা (দলে প্রতিযোগিতা) একটা চ্যালেঞ্জ আসলে। জাতীয় দলে যারা আছে সবাই প্রতিষ্ঠিত বোলার। এর মধ্যে আমার অভিজ্ঞতা একটু কম। আমি চেষ্টা করছি এখান থেকে যতটুকু পারা যায়, নিজেকে অভিজ্ঞ করে নিতে। সিনিয়রদের দেখে যতটুকু শেখা যায়।’
‘একটা প্রতিযোগিতা সবসময়ই থাকে। চারজন পেস বোলার আছি আমরা। তিনজন বা দুজন ভাল করছে। এটা আমার মধ্যেও তাগিদ আসে যে আমাকেও ভাল করতে হবে। জাতীয় দলে থাকতে হলে, ম্যাচ খেলতে হলে অনেক ভাল করতে হবে। এটা দলের মধ্যে একটা ভাল ব্যাপার যে অভিজ্ঞতা অর্জন করা, ভাল করার চেষ্টা করা। এটা উপভোগ করছি।’
এসএএস/পিআর