ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

গবেষণায় প্রমাণিত, আইপিএলের নেতিবাচক প্রভাব নেই টেস্টে

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:১৪ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৮

ভারতের জনপ্রিয় ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। ২০০৮ সালে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্ট এরই মধ্যে পার করেছে ১১টি মৌসুম। বিশ্ব জুড়ে আইপিএলের জনপ্রিয়তাও আকাশচুম্বী। তবে আইপিএলের বিপক্ষে অভিযোগ রয়েছে যে মারমার, কাটকাট এই টুর্নামেন্টের কারণে বিবর্ণ হয়ে পড়েছে টেস্ট ক্রিকেট।

তবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর শুভাশিষ রায় রীতিমত গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে টেস্ট ক্রিকেটে আইপিএলের কোন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। গবেষণার অংশ হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেট দলে ২০০০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে খেলা টেস্টগুলোর তথ্যাদি ব্যবহার করেছেন শুভাশিষ।

ভারতীয় দলের পনেরো বছরের তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে শুভাশিষ জানিয়েছেন আইপিএল শুরু হওয়ার পর থেকে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতীয় ক্রিকেট দলের রান তোলার গতি বেড়ে যাওয়ার বদলে কমেছে। এতেই বুঝা যায় যে আইপিএলে যতোই মারকাটারি ক্রিকেট হোক, এতে টেস্ট ক্রিকেটে কোন প্রভাব পড়েনি।

ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্টের এক বিবৃতিতে শুভাশিষ বলেন, ‘পরিসংখ্যানগত দিক থেকে হয়তো ততটা অর্থবহ নয় গবেষণালব্ধ তথ্যগুলো। তবে যদি এই ধারা বজায় থাকে তাহলে অল্প কয়েকব দিনেই এর পরিসংখ্যানগত গুরুত্বও বেড়ে যাবে।’

শুভাশিষের এই থিসিসে আরও জানা যায় যে গত ১৫ বছর ভারতীয় দলের টেস্ট ম্যাচের দৈর্ঘ্যেও তেমন পরিবর্তন আসেনি। অর্থ্যাৎ আইপিএলের প্রভাবে ৩-৪ দিনেই ম্যাচ শেষ হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়নি। তবে আইপিএল শুরুর পর থেকে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বাউন্ডারি মারার হার বেড়েছে এবং নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের রান করার হারও বেড়ে গিয়েছে।

শুভাশিষের দাবি এসব তথ্য থেকে বুঝা যায় আইপিএল ভারতীয় ক্রিকেটে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি। বরং আইপিএলের তুমুল জনপ্রিয়তার কারণে ফুটবলের আইএসএল, কাবাডিড় প্রো কাবাডির মতো লিগগুলোও দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শুভাশিষ বলেন, ‘আইপিএলের সফলতা বর্তমানে ভারতের অন্যান্য খেলাধুলাতেও দর্শক টেনেছে। যার ফলে ফুটবল, টেনিস, কাবাডি বা রেসলিংয়েও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ করা যাচ্ছে। তবে যাইহোক, আশা করছি আমার গবেষণা এটা প্রমাণ করে দিবে যে ক্রিকেটের লঙ্গার ভার্শনে আইপিএলের কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।’

এসএএস/আরআইপি

আরও পড়ুন