ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

পুঁচকে মুজিবে আটকে গেলো আয়ারল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৪১ এএম, ২৮ আগস্ট ২০১৮

বেলফাস্টের সিভিল সার্ভিস ক্রিকেট ক্লাব মাঠে নিশ্চিত জয়ের ব্যবস্থাই করেছিল আয়ারল্যান্ডের বোলাররা। শেষ ৭ ওভারে ১৬ রান দিয়ে আফগানদের ৫ উইকেট তুলে নেয়ার পর তাদের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল মাত্র ২২৮ রান। খুবই মামুলি একটা লক্ষ্য; কিন্তু আয়ারল্যান্ডে এই সফরে আফগানিস্তানের স্পিনাররা যে ভেল্কি দেখিয়ে যাচ্ছে, তাতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মত তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও থমকে দাঁড়াতে হলো স্বাগতিক আইরিশদের।

খুব বেশি উইকেট নেননি আফগানদের তরুণ স্পিনার মুজিব-উর রহমান। মাত্রই কিছুদিন আগে ১৭ বছর বয়স পার হওয়া এই তরুণ স্পিনার রশিদ খানের অফ ফর্মকেও ভুলিয়ে দিয়েছেন। উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১টি। কিন্তু ৩.২০ ইকোনোমি রেটে রান দিয়েছেন মাত্র ৩২টি। ১০ ওভারের কোটায় একজন বোলার এতটা কৃপণ হলে, প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের সামনে যে বিশাল চাপ তৈরি হয়, সেটা বলাই বাহূল্য।

মুজিব-উর রহমান সেই চাপটাই তৈরি করে দিয়েছেন। তার বোলিংয়ে যখন কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল আইরিশ ব্যাটসম্যানরা, তখন তাদের সামনে ওভার প্রতি রান রেট দাঁড়িয়ে গিয়েছিল ৮ এর ওপর। ফলে শেষ পর্যন্ত ২২৮ রান তো দুরে থাক, ২০০ রানের কোটাও পূরণ করতে ব্যর্থ হলো স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানরা। ফলে, শেষ পর্যন্ত ২৯ রানেই আফগানিস্তানের কাছে পরাজয় বরণ করতে হলো আয়ারল্যান্ডকে।

টস জিতে আফগানিস্তানকেই প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল স্বাগতিক আইরিশ অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। ব্যাট করতে নামার পর দুই ওপেনার হজরতুল্লাহ জাজাই এবং ইনসানুল্লাহ খুব দ্রুত ফিরে গেলেও গুলবাদিন নাইব এবং রহমত শাহ মিলে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। ২৯ রান করে রহমত শাহ ফিরে গেলেন গুলবাদিন নাইব করেন ৬৪ রান। হাশমাতুল্লা শহিদি করেন ৫৪ রান। অধিনায়ক আসগর আফগান (পুর্বের নাম ঠিল স্টানিকজাই) করেন ২৫ রান। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়াতে থাকে আয়ারল্যান্ড। অ্যান্ড্রু বালবিরনি সর্বোচ্চ ৫৫ রান করলেও আফগান বোলারদের চাপের মুখে ৪৮.৩ ওভারে মাত্র ১৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায় আইরিশরা। ৩৮ রান করেন গ্যারি উইলসন। ২২ রান করেন কেভিন ও’ব্রায়েন। ২ উইকেট করে নেন আফতাব আলম, মোহাম্মদ নবি এবং রশিদ খান। ১ উইকেট করে নেন মুজিব-উর রহমান এবং গুলবাদিন নাইব।

আইএইচএস/জেআইএম

আরও পড়ুন