প্রোটিয়াদের লজ্জায় ডোবাল শ্রীলঙ্কা
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ২২০ রান করতে পারলেও শ্রীলঙ্কার জয় ছিল নিশ্চিত। সে জায়গায় টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কানরা করলো ২৯৯ রান। প্রেমাদাসায় বিশাল স্কোর। এত বড় স্কোরের নিচে চাপা পড়ে শুরুতেই হাসফাঁস শুরু করে দিয়েছিল সফরকারী প্রোটিয়ারা। যার ফলশ্রুতিতে মাত্র ২৪.৪ ওভারে মাত্র ১২১ রানেই অলআউট কুইন্টন ডি ককের দল এবং প্রোটিয়াদের হারতে হয়েছে ১৭৮ রানের বিশাল ব্যবধানে। যা তাদের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম হারের লজ্জা।
ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১৮২ রানের লজ্জায় পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০২ সালে এই ব্যবধানে তারা হারে পাকিস্তানের কাছে। এছাড়া ১৮০ রানে আরও একবার শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছিল প্রোটিয়ারা। সেটা ২০১৩ সালে। এবার তারা সেই লঙ্কার কাছেই হারলো ১৭৮ রানের বিশাল ব্যবধানে।
ভাগ্য ভালো ফ্যাফ ডু প্লেসিসের অধীনে ৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচ জিতে নিয়েছিল প্রোটিয়ারা। যে কারণে, শেষ দুই ম্যাচ শ্রীলঙ্কা জিতলেও সিরিজটা ৩-২ ব্যবধানে জিতে নিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় ম্যাচে ইনজুরির শিকার হয়ে দল থেকে ছিটকে যান ডু প্লেসিস। তার পরিবর্তে বাকি দুই ওয়ানডের জন্য নেতৃত্বভার তুলে দেয়া হয় কুইন্টন ডি ককের কাঁধে। কিন্তু কক যে কেমন অধিনায়ক হবেন, সেটা শুরুতেই বোঝা গেলো তার শোচনীয় পরাজয়ের মধ্য দিয়ে।
একা এক আকিলা ধনঞ্জয়ার ঘূর্ণি ফাঁদেই আটকা পড়লো দক্ষিণ আফ্রিকা। টানা ৯ ওভার বল করে যান তিনি। রান দিয়েছেন ২৯টি। নিয়েছেন ৬ উইকেট। এক সময় তো চামিন্দা ভাস আর মুত্তিয়া মুরালিধরনের রেকর্ডকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নেয়ার রেকর্ড আছে চামিন্দা ভাসের। মুরালির রেকর্ড রয়েছে ৭ উইকেট নেয়ার। ধনঞ্জয়া নিলেন ৬ উইকেট।
প্রোটিয়ারা হারলেও একা লড়াই করেছেন অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক। ৫৭ বল মোকাবেলা করে তিনি খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস। ধনঞ্জয়ার বলেই সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার আগে, ৭টি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন তিনি।
এছাড়া প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ২০ রান করেন এইডেন মারক্রাম। ১২ রান করেন জেপি ডুমিনি এবং কাগিসো রাবাদা। রাবাদা অবশ্য অপরাজিত ছিলেন। হাশিম আমলা, রিজা হেন্ডরিক্স গোল্ডেন ডাক মেরে উঠে যান। হেনরিক ক্লাসেন এবং উইলেম মালডার যথাক্রমে ৩ ও ২ রান করেন। কেশব মাহরাজ করেন ৮ রান।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ধনঞ্জয়ার ৬ উইকেটছাড়াও ২ উইকেট নেন লাহিরু কুমারা। ১ উইকটে করে নেন সুরঙ্গা লাকমাল ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৯ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন তিনি। যদিও আউট হননি। ৪৩ রান করেন নিরোশান ডিকভেলা, ৩৮ রান আসে কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে। ৩০ রান করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন আকিলা ধনঞ্জয়া।
আইএইচএস/জেআইএম