পাক-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নে ইমরানের সাহায্য চান কপিল
পাক-ভারত ক্রিকেট দ্বৈরথ যখন অনেক কারণে ‘মহারণ’, তখন দুই শিবিরের দুই সেনাপতি ইমরান খান ও কপিল দেব। ৭০’ দশকের একদম শেষভাগ থেকে ৮০’র পুরোটা ইমরান ছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেটের অবিসংবাদিত নেতা আর কপিল দেব ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রধান সেনাপতি।
রাজনৈতিক বৈরিতা ও জাতিগত দ্বন্দ্বের কারণে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট লড়াই শুধু মাঠের খেলা ছিলো না কখনোই। পাক-ভারত ক্রিকেট লড়াই মানেই ভাবা হতো ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। বিশ্বের তাবৎ দলের কাছে হারলেও দু পক্ষের কেউ কারো কাছে হারতে চাইতো না। মোদ্দা কথা, দুই দেশের ক্রিকেট লড়াইটি এক যুদ্ধাংদেহী পরিস্থিতির সৃষ্টি করতো।
প্রতিবেশী দু দেশের নাগরিক ও সমর্থকদের মধ্যে উগ্র ও অন্ধ মানসিকতা কাজ করলেও ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মধ্যে কোনো সময়ই সে অর্থে বৈরিতা ছিল না। বরং অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপরীত মানসিকতার পরিচয় দিয়ে আসছেন দুই দেশের সাবেক ক্রিকেটাররা।
সুনীল গাভাস্কার, কপিল দেব, মহিন্দর (জিমি) অমরনাথ, বিষেন সিং বেদীদের সাথে আসিফ ইকবাল, জহির আব্বাস ও ইমরান খানদের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও ব্যক্তিজীবনে ছিলো চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ায় দেয়া নানা সাক্ষাৎকারে দু দেশের ক্রিকেটাররা চির প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিকেটারদের নানাভাবে হাইলাইট করতেন।
তারই ধারাবাহিকতার জ্বলন্ত নজির রাখলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কপিল দেব। সমসাময়িক ক্রিকেটার ইমরান খানের নির্বাচনে বিপুল বিজয়ে সবার আগে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন কপিল। শুধু তাই নয় দুই দেশের মধ্যকার ক্রিকেটীয় সম্পর্কের যে অবনতি ঘটেছে তা ঠিক করার লক্ষ্যে ইমরানের হস্তক্ষেপও কামনা করছেন কপিল।
প্রতিদ্বন্দ্বী দলের অধিনায়ক ইমরানকে অভিনন্দন জানিয়ে কপিল বলেন, ‘ইমরানের এই সাফল্যে আমি খুবই খুশি। আমি আশা করি সে যেমন দক্ষতার সাথে পাকিস্তান দলকে পরিচালনা করতো, তেমনভাবেই পাকিস্তান দেশকেও পরিচালনা করবে। সে শুরু থেকেই সাফল্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতো। টানা কঠোর পরিশ্রম করার সামর্থ্য তার রয়েছে। যার ফলে সে সবসময় সফলতা পেয়ে থাকে।’
এসময় দুই দেশের মধ্যকার বর্তমান চরম অবস্থার ব্যাপারেও কথা বলেন কপিল। ইমরান নিজের দায়িত্বে থাকাকালীন ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট সম্পর্ক উন্নয়নেও কাজ করবেন বলে আশা করছেন কপিল।
তিনি বলেন, ‘আমার মতে ক্রিকেটের চেয়ে দেশ অনেক বড়। আমি আশা করছি ভারত ও ইমরান সরকার দুই দেশের মধ্যকার বড় ইস্যুগুলো সমাধান করবে ও দুই দেশের মধ্যে আবারো শান্তি ফিরিয়ে আনবে। আমি মনে করি ক্রিকেট আবারো মাঠে গড়াবে। দুই দেশই বর্তমানে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইমরানের উচিৎ দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়তে কাজ করা উচিৎ।’
এসএএস/এমএস