লেগস্পিনার রিশাদের ব্যাপারে সতর্ক বিসিবি
বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে লেগস্পিনার মানেই যেন সোনার ডিম পাড়া হাঁস। ক্ষেত্রবিশেষে এর চেয়েও দামী কিছু ভাবা হয় কব্জির জাদু দেখানো এসব প্রজাতির বোলারদের। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আক্ষেপ যে দলে নেই কোনো লেগস্পিনার।
তবে সম্ভাবনাময় ছিলেন জুবায়ের হোসেন লিখন। বর্তমানে উঠে আসছেন রিশাদ হোসেন। ১৭ বছর বয়সী রিশাদকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদটা বেশ উঁচু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। উত্তেজনাটাও কম নয়। যার ফলে শ্রীলংকার বিপক্ষে চারদিনের ম্যাচের স্কোয়াডেও ডেকে ফেলা হয়েছিল রিশাদকে।
তবে শেষ মুহুর্তে তাকে মাঠে নামায়নি দল। পরের আয়ারল্যান্ডের সফরে ‘এ’ দলের স্কোয়াডেও জায়গা মেলেনি তার। অন্য কোন ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে এমন হলে হয়তো তুলোধুনো করে ফেলা হতো নির্বাচকদের। তবে এক্ষেত্রে ক্রিকেটার ১৭ বছর বয়সী লেগস্পিনার রিশাদ হওয়াতেই উল্টো বাহবা পাচ্ছেন নির্বাচকেরা।
কেননা ২০১৪ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামিয়ে দিয়ে ক্যারিয়ারে বিশাল এক ধাক্কাই দেয়া হয়েছে জুবায়ের হোসেন লিখনকে। রিশাদের ক্ষেত্রেও তেমন কিছু না হয় যাতে, সে কারণেই তাকে ‘এ’ দলের বাইরে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন।
ধাপে ধাপে প্রতিটি পর্যায় শেষ করে পরিপক্ক করে তবেই রিশাদকে বড় মঞ্চে আনার কথা জানিয়েছেন সুমন। একইসাথে জুবায়েরও যে বিসিবির পরিকল্পনাও রয়েছেন সেটি জানান এই নির্বাচক।
‘আয়ারল্যান্ড ট্যুরে রিশাদ ও লিখন সুযোগ পায়নি। তবে যুব দলের বিপক্ষে তারা খেলেছে। সামনে ‘এইচপি’ দলের শ্রীলংকা সফরের দলেও তারা থাকবে। লেগস্পিনারের গুরুত্ব নতুন করে বলার কিছু নেই। তাই বিশ্বকাপের আগে আমরা তাদের পরখ করে নিতে চাই। ‘এ’ দলের বিপক্ষে অনেক প্রতিযোগিতা থাকে। ভালোদের সুযোগ দিতেই হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রিশাদ খুব ভালো বোলার। তবে হয়তো কিছুদিন সময় দিতে হবে। ছেলেটা একদম নতুন। তাড়াহুড়ো করে কাউকে আর সুযোগ দিতে চাই না। এই ভুল করেছি, আর করতে চাই না। আন্তর্জাতিক মঞ্চ সুযোগের মঞ্চ না, করে দেখানোর মঞ্চ। তাই আগেই নিজেকে প্রস্তুত করে সেখানে যাওয়া উচিৎ। রিশাদ ও লিখনকে নিয়ে আমাদের লম্বা পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের যথাযথ প্রস্তুত করেই আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঠাবো।’
এসএএস/এমএস