বাংলাদেশের ইতিহাস গড়তে চাই ১১৩ রান
বেশ কয়েকবার বহুজাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেও শিরোপার স্বাদ পাওয়া হয়নি বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের। পুরুষদের এই আক্ষেপ মেটানোর সুযোগ এবার নারী ক্রিকেট দলের সামনে। নারী এশিয়া কাপের ফাইনাল জিতে ইতিহাস গড়তে নারী দলের প্রয়োজন ১১৩ রান।
কুয়ালালামপুরের কিনরানা ওভাল স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান করেছে ভারত। ভারতীয়দের পক্ষে একাই লড়েছেন অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর। তার অপরাজিত হাফসেঞ্চুরিতেই একশ ছাড়ায় ভারতের ইনিংস।
বাংলাদেশের আমন্ত্রণে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় ভারতীয়রা। ইনিংসের ৪র্থ ওভারে রানআউটের মাধ্যমে প্রথম ব্রেকথ্রু পায় বাংলাদেশ। নাহিদা আকতারের দুর্দান্ত থ্রো’তে ৭ রান করে ফেরেন স্মৃতি মান্ধানা। রানের চাকা থামিয়ে দেন সালমা-নাহিদারা।
ইনিংসের ৭ম ওভারে দীপ্তি শর্মাকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান জাহানারা আলম। পরের ওভারেই মিথালি রাজকে ফারজানা হকের হাতে ক্যাচে পরিণত করেন খাদিজা তুল কুবরা। তার এক ওভার পরে উইকেটরক্ষক শামীমা সুলতানার থ্রো ইচ্ছাকৃতভাবে থামিয়ে আউট হন অনুজা পাতিল।
পঞ্চম উইকেটে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন অধিনায়ক হারমানপ্রিত এবং ভেদা কৃষ্ণামুর্থি। ১৩তম ওভারে কৃষ্ণামুর্থিকে সরাসরি সরাসরি বোল্ড করে জুটি ভাঙেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সালমা খাতুন। অপর প্রান্তে বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে খেলতে থাকেন হারমানপ্রিত।
অষ্টম উইকেটে অভিজ্ঞ ঝুলান গোস্বামিকে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়েন হারমানপ্রিত। আউট হওয়ার আগে ১১ রান করেন ঝুলান। ইনিংসের শেষ বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন হারমানপ্রিত। ক্যারিয়ারের ৫ম হাফসেঞ্চুরিতে ৫৬ রান করেন তিনি। ভারতের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১১২ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন রোমানা আহমেদ এবং খাদিজা তুল কুবরা। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন সালমা খাতুন এবং জাহানারা আলম।
এসএএস/জেআইএম