‘টি-টোয়েন্টিতে ঝুঁকি তো নিতেই হবে’
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা তেড়েফুড়ে শট খেলতে যাচ্ছেন আর বিলিয়ে দিয়ে আসছেন উইকেট। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতেই এমন চিত্র দেখা গেছে। ব্যাটসম্যানদের মাঝে অভিজ্ঞতা আর দায়িত্বশীলতার ছায়াটাও দেখা যায়নি।
তবে কি টিম ম্যানেজম্যান্টের পরিকল্পনাই ছিল এভাবে মেরে খেলার? তৃতীয় ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অলরাউন্ডার আরিফুল হক অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করলেন। তার উল্টো যুক্তি, টি-টোয়েন্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতেই হবে। এর জন্য টিম ম্যানেজম্যান্টের বিশেষ নির্দেশনার তো প্রয়োজন নেই।
রশিদ খান এখন টি-টোয়েন্টির এক নাম্বার বোলার। তার স্পিনের বিরুদ্ধে যেন কোনো উপায়ই খুঁজে পাচ্ছেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। টাইগাররা প্রথম দুটি ম্যাচেই যে এই এক রশিদ খানের কাছেই হেরেছে, অবলীলায় সেটা স্বীকার করে নিলেন আরিফুল, ‘একজনই বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন, তিনি রশিদ খান। তাদের স্পিন আক্রমণ খুবই ভালো। আমাদের ব্যাটিং লাইনআপও ভালো। তবে রশিদ খান একাই আগের দুই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন।’
রশিদ খান সর্বনাশ করছেন। দুই ম্যাচে আফগান লেগস্পিনারের ঝুলিতে ৭টি উইকেটই বলে দিচ্ছে, কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠেছেন তিনি। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রশিদ বোলিংয়ে আসার আগ পর্যন্তও বেশ ভালো ব্যাটিং করছিল বাংলাদেশ। প্রথম দশ ওভারে ছিল ৩ উইকেটে ৮১। সেখান থেকে ১৩৪ রানের বেশি এগোতে পারেনি টাইগাররা।
ঝুঁকি নিতেই হবে। কিন্তু এই ঝুঁকিটা কি একটু বেশিই নিয়ে ফেলছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা? সিঙ্গেল ডাবলসে না খেলে তেড়েফুড়ে মারতে গিয়ে প্রথম দুই ম্যাচেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন তারা।
টিম ম্যানেজম্যান্টের পক্ষ থেকেই কি ঝুঁকি নিয়ে রান বাড়ানোর নির্দেশনা ছিল? তামিম-মুশফিকের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরাও কেন না বুঝে শুনেই বেশি বেশি শট খেলতে যাচ্ছেন?
আরিফুল হক অবশ্য মনে করছেন না, দলের গেম প্ল্যানে কোনো ভুল আছে। টি-টোয়েন্টিতে ঝুঁকি নিতেই হবে, এমন যুক্তি তার, ‘আসলে টি-টোয়েন্টিতে আপনাকে সুযোগ নিতে হবে। মানে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতেই হবে। তাই সিনিয়র ব্যাটসম্যানরা দ্রুত রান করতে চেয়েছেন। যদি দল জিততো, তবে এসব শট নিয়ে কথা হতো না। খুব বেশি নির্দেশনা ছিল না। আমাদের বলা হয়নি বেশি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে।’
এমএমআর/জেআইএম