ইংলিশ পেসারদের তোপে ১৭৪ রানেই অলআউট পাকিস্তান
তিন পেসার জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড আর ক্রিস ওকসের সংঘবদ্ধ আক্রমণে রীতিমতো দিশেহারা পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানরা। সঙ্গে অভিষিক্ত টম কুরানও একটু অবদান রাখলেন। হেডিংলি টেস্টে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে এই পেস দিয়েই ঘায়েল করে দিয়েছে ইংল্যান্ড। সরফরাজ আহমেদের দল গুটিয়ে গেছে ১৭৪ রানেই।
এই রানটাকেও বেশিই বলতে হবে। শাদাব খান হাল না ধরলে যে আরও বড় লজ্জায় পড়তে হতো সফরকারিদের! একটা সময় ৭৯ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। সেখান থেকে বলতে গেলে দলকে একাই টেনে নিয়ে যান সাত নাম্বারে নামা শাদাব। ৫২ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৫৬ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে তিনিই শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন। দশ নাম্বার ব্যাটসম্যান হাসান আলীও করেন গুরুত্বপূর্ণ ২৪ রান।
হেডিংলি টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং করতে নামাই যেন কাল হয়েছে পাকিস্তানের। শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে তারা। দলের খাতায় কোনো রান যোগ না হতেই স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে জো রুটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমাম-উল-হক। এরপর আজহার আলীও বেশিদূর এগোতে পারেননি। ব্রডের দ্বিতীয় শিকার হয়ে তিনি ফিরেছেন মাত্র ২ রানে। ১৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমতো ধুঁকছে পাকিস্তান।
তৃতীয় উইকেটে অবশ্য কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন আসাদ শফিক আর হারিস সোহেল। ২৮ রান করা সোহেলকে ফিরিয়ে ৩২ রানের জুটিটি ভেঙেছেন ক্রিস ওকস। একইভাবে থিতু হয়ে আউট হয়েছেন আসাদ শফিকও। ২৭ রান করে ওকসের দ্বিতীয় শিকার তিনি।
এরপর একে একে সাজঘরে ফিরেছেন অভিষিক্ত উসমান সালাউদ্দিন (৪), সরফরাজ আহমেদ (১৪), ফাহিম আশরাফরা (৪)। ১১৩ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর হাসান আলীকে নিয়ে ৪৩ রানের একটি জুটি গড়েন শাদাব। দশম উইকেটে মোহাম্মদ আব্বাসকে নিয়ে তিনি যোগ করেন আরও ১৮ রান, যার মধ্যে আব্বাসের অবদান মাত্র ১।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ৩টি করে উইকেট জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড আর ক্রিস ওকসের। একটি উইকেট নিয়েছেন টম কুরান।
জবাব দিনে নেমে বেশ ভালোই সূচনা করেছে ইংল্যান্ড। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিনা উইকেটেই ৫১ রান তুলে ফেলেছে স্বাগতিকরা। অ্যালিস্টার কুক ২৩ এবং কেটন জেনিংস ২৭ রানে অপরাজিত আছেন।
এমএমআর/এমএস