বড় ব্যবধানে হারল তামিমের বিশ্ব একাদশ
‘মোর দ্যান অ্যা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ’ ব্যানারে খেলা প্রদর্শনীমূলক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি বিশ্ব একাদশ। ছন্নছাড়া বোলিংয়ের পর অগোছালো ব্যাটিংয়ে ৭২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে তামিম ইকবালের দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ১৯৯ রানের জবাবে মাত্র ১২৭ রানেই অলআউট হয়েছে বিশ্ব একাদশ।
২০০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যাচ্ছেতাই শুরু করে বিশ্ব একাদশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এভিন লুইসের দুর্দান্ত এক ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন তামিম। ৮ বল খেলে মাত্র ২ রান করেন তামিম। এরপর রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন লুক রঙ্কি এবং দীনেশ কার্তিক। স্যাম বিলিংসের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান। ৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে অকূল পাথারে তখন তামিমরা।
সেখান থেকে ইনিংসের হাল ধরেন লংকান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। মাত্র ৩৭ বলে ৭ চার এবং ৩ ছক্কার মারে ৬১ রান করেন পেরেরা। তার ইনিংসেই মূলত একশো পেরোয় বিশ্ব একাদশ। এছাড়া শোয়েব মালিক ১২ এবং শহিদ আফ্রিদি করেন ১১ রান। ইনজুরির কারণে টাইমাল মিলস ব্যাট করতে না নামলে ১৬.৪ ওভারে ১২৭ রানে নবম উইকেটের পতনেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ।
৭২ রানের জয়ে ক্যারিবীয়দের পক্ষে বল হাতে ৩ উইকেট নেন কেসরিক উইলিয়ামস। তবে মাত্র ৩.৪ ওভার বল করেই ৪২ রান খরচ করেন তিনি। অন্যদিকে ৩ ওভারে ১ মেইডেনসহ মাত্র ৪ রান খরচায় ২ উইকেট নেন স্যামুয়েল বদ্রি। অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলও নেন ২টি উইকেট।
এর আগে ক্রিকেটের মক্কাখ্যাত লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এভিন লুইস এক পাশে ঝড়ো শুরু করলেও ব্যাট হাতে চেনা ছন্দ খুঁজে পাননি ক্রিস গেইল। মাত্র ২৬ বলে ৫৮ রান করেন লুইস। ৫টি করে চার এবং ছক্কায় সাজানো তার ইনিংস। অন্যদিকে লুইসের চেয়ে ২ বল বেশি খেলেও মাত্র ১৮ রান করতে সক্ষম হন গেইল।
৭৫ রানের উদ্বোধনী জুটির পর মারলন স্যামুয়েলস, দীনেশ রামদিন এবং আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে ২০০ ছোঁয়া সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২টি চার এবং ৪টি ছক্কার মারে ২২ বলে ৪৩ রান করে আউট হন স্যামুয়েলস। ৩টি করে চার এবং ছয়ের মারে ২৫ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন রামদিন। রাসেলের ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস।
বিশ্ব একাদশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রশিদ খান। তবে ৪ ওভার থেকে ৪৮ রান খরচ করেন এই আফগান তরুণ। অন্য ২ উইকেট নেন দুই পাকিস্তানি শোয়েব মালিক এবং শহিদ আফ্রিদি।
৫৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা এভিন লুইস জেতেন ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার। এই ম্যাচ থেকে অর্জিত সকল অর্থ ব্যয় করা হবে গত বছর ক্যারিবীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সকল স্টেডিয়ামের পুনর্বাসনের কাজে।
এসএএস/বিএ