‘ক্রিকেটকে ঘিরে ধরেছে অপরাধী চক্র’
ক্রিকেটে দুর্নীতি এখন আর ম্যাচ ফিক্সিং কিংবা স্পট ফিক্সিংয়ে সীমাবদ্ধ নেই। এটা এখন ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিটি ভাগে ভাগে। সম্প্রতি আল জাজিরা টিভির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। গত তিন বছরে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের টেস্ট ম্যাচে দুর্নীতির খবর তুলে এনেছে তারা, যা কিনা নাড়িয়ে দিয়েছে আইসিসিকেও। তদন্ত চলছে, এখনও কোনো কিছু নিশ্চিত নয়। তবে আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন স্বীকার করলেন, ক্রিকেটকে ঘিরে ধরেছে অপরাধী চক্র।
রিচার্ডসনের মতে, দুর্নীতিতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে টেস্ট ক্রিকেট। সেইসঙ্গে এখন এটা ঘরোয়া এবং জুনিয়র লেভেলের ক্রিকেটেও ছড়িয়ে পড়েছে, স্বীকার করেছেন তিনি। দুর্নীতি আগেও ছিল, এখনও আছে। রিচার্ডসন জানিয়েছেন, আইসিসির লড়াইটা তাই চলছে, চলবে।
আল জাজিরা টিভির ডকুমেন্টারিতে অভিযোগ উঠেছে, ভারতে অনুষ্ঠিত দুটি টেস্ট ম্যাচে ১০ ওভারের মতো সময়ে ইংল্যান্ডের তিনজন এবং অস্ট্রেলিয়ার দুইজন খেলোয়াড় বাজিগরদের কথামতো ধীরে রান করেছেন। টেস্ট দুটি হলো ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের ভারত সফরের সময় চেন্নাইতে এবং গত বছর রাঁচিতে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির তৃতীয় টেস্ট।
শুধু খেলোয়াড়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই এই দুর্নীতি। এখন বাজিগররা ক্রিকেটের অন্য ক্ষেত্র যেমন গ্রাউন্ডসম্যানকে দিয়ে পিচের চরিত্র বদলের মতো কাজও করছেন। লন্ডনে বুধবার ২০১৯ বিশ্বকাপের এক ইভেন্টে রিচার্ডসন বলেন, ‘আমরা টপ লেভেলে কঠোরতা আরোপ করেছি বলে তারা এখন জুুনিয়র লেভেলের ক্রিকেট এবং অন্য জায়গা; যেমন কিউরেটর এবং গ্রাউন্ডসম্যানের দিকে নজর দিয়েছে। আমরা জানি সমস্যাটা কি। ধারাবাহিকভাবে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আমরা হাল ছাড়তে পারি না।’
রিচার্ডসন জানালেন, আল জাজিরা টিভির ডকুমেন্টারিটি দেখার পর শুরুতে শুধু রাগই লেগেছে তার। ক্রিকেটটা নষ্ট করার জন্য অপরাধী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে, মনে করছেন তিনি, ‘আমরা জানি, বিশ্বজুড়ে এমন অনেক ব্যক্তি এবং অপরাধী চক্র আছে যারা ক্রিকেটে ঢোকার চেষ্টা করছে। খেলোয়াড়দের, গ্রাউন্ডসম্যানদের ধরার চেষ্টা করছে। মনে রাখতে হবে, তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, চলে যাচ্ছে না। তাদের নির্মূল করতে আমরাও আমাদের কাজ করে যাচ্ছি।’
এমএমআর/জেআইএম