‘আইপিএলে চোট বাঁধিয়ে জাতীয় দলে খেলবে না, এ কেমন মানসিকতা?’
আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন। প্রথম দিকের অনেকগুলো ম্যাচে সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু নিজের নামের প্রতি সেভাবে সুবিচার করতে পারেনি মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর দল থেকে বাদ পড়েন। আইপিএল শেষ করে দেশে ফিরে হঠাতই শোনান অদ্ভূত এক কথা, পায়ে ব্যথা, তাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে পারবেন না।
মোস্তাফিজের এমন আচরণে ক্রিকেট অপস এবং জাতীয় দলের টিম ম্যানেজম্যান্টে রীতিমত তোলপাড়। ক্রিকেট অপসের চেয়ারম্যান আকরাম খান আর দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু সকাল সকাল বোর্ডে এসে হাজির। এই প্রতিবেদন তৈরির সময় পর্যন্ত নান্নু-আকরাম পেসার মোস্তাফিজের শেষ মুহূর্তে ইনজুরির কথা বলে সরে দাঁড়ানো, তার বিকল্প হিসেবে কাকে নেয়া যায়-তা নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত।
সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে দুটি নামই উচ্চারিত হচ্ছে আবুল হাসান রাজু আর শফিউল ইসলাম। আজ দুপুরের মধ্যেই যে কোনো একজনকে বেছে নেবে টিম ম্যানেজম্যান্ট। যতদূর জানা গেছে, আবুল হাসান রাজুই হতে যাচ্ছেন মোস্তাফিজের বিকল্প। সেটা না হয় ঠিক হলো, কিন্তু মোস্তাফিজ যে হঠাৎ দলকে বিপদে ফেলে দিলেন, এই আচরণটা কি ঠিক হয়েছে? তিনি কেন ইনজুরির কথা আগে জানালেন না?
আইপিএল খেলে ইনজুরি নিয়ে দেশে ফিরে আসা এবং জাতীয় দলের হয়ে খেলতে না পারা-দুইয়ে মিলে মোস্তাফিজের উপর রীতিমত ক্ষুব্ধ বোর্ড। জাগো নিউজের সাথে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আইপিএল খেলে ব্যথা পেয়ে আসবে, জাতীয় দলকে সার্ভিস দিতে পারবে না। আর আমরা মানে ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের অর্থায়ন ও গরজে তাদের চিকিৎসা করাবো, এটা কেমন মানসিকতা?’
আকরাম ঝাঝাঁলো কন্ঠে বলে ওঠেন, ‘আইপিএলের ওপর শতভাগ কমিটমেন্ট থাকবে। শতভাগ সিরিয়াসনেস থাকবে আর জাতীয় দলের প্রতি এমন অপেশাদার মানসিকতা! এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা তা সহ্যও করবো না।’
একইরকম ক্ষোভ প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুরও। জাগো নিউজকে তিনি বলছিলেন, ‘এটা রীতিমত দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা। পেশাদারিত্বের এতটুকু ছোঁয়া নেই। জাতীয় দলের ক্রিকেটারের কাছ থেকে এমন অপেশাদার আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা বিষয়টি খুঁটিয়ে দেখবো।’
অপেশাদার আচরণ করে যে মোস্তাফিজ এবার বেশ বড় বিপদেই পড়তে যাচ্ছেন, আঁচ করাই যাচ্ছে। বিদেশি লিগে খেলবেন, কিন্তু জাতীয় দলকে তো সবারই সর্বাগ্রে রাখা উচিত।
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম