আফগানিস্তানকে সমীহ করছেন ওয়ালশ
আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশ এগিয়ে। অভিজ্ঞতা বলুন কিংবা দলে তারকা খেলোয়াড়ের উপস্থিতি, টাইগারদের আফগানিস্তানের চেয়ে বড় দল বলবেন সবাই। তবে অনেকেই হয়তো খবর রাখেন না, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থান এই আফগানদেরও নিচে; যাদের বিপক্ষে আগামী মাসে ভারতের মাটিতে একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাচ্ছেন সাকিব-মুশফিক-তামিমরা।
টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে আফগানিস্তান আট নাম্বারে। বাংলাদেশের অবস্থান দশম। র্যাংকিংয়েই এই পার্থক্যই বলে দিচ্ছে, এই ফরমেটে আফগানরা সমীহ জাগানো এক দল। প্রতিপক্ষকে সমীহ দেখাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ কোর্টনি ওয়ালশও। তিনি মনে করছেন, লড়াইটা বেশ কঠিন হবে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে কি তবে হারের ভয় আছে? ওয়ালশ অবশ্য এতটা নেতিবাচকভাবে ভাবতে চান না। তবে প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান দিতেও কার্পন্য করলেন না টাইগার কোচ, ‘আমার মনে হয় না, আমাদের এভাবে ভাবা উচিত। আমাদের একটি সিরিজ খেলতে হবে। ইতিবাচক থাকা উচিত, নিজেদের উপর আস্থা রেখে। আমাদের আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে, হারের চিন্তা করলে চলবে না। তবে আফগানিস্তান ভালো দল। আমরা যদি নিজেদের শক্তি এবং সামর্থ্য দিয়ে খেলতে পারি, তবে উপরে থাকতে পারব। যখনই আপনি হারের কথা ভাববেন, মনে সন্দেহ থাকবে, সেরাটা দিতে পারবেন না।’
আফগানিস্তানের কোন কোন জায়গায় দুর্বলতা আছে মনে করছেন, সেটা নিয়ে কি কাজ হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ওয়ালশ বলেন, ‘আমাদের সব জায়গার দিকেই নজর রাখতে হবে, শক্তিমত্তা এবং দুর্বলতা। দল হিসেবে তারা নিজেদের মান দেখিয়েছে। আমাদের বেশ কয়েকদিন পর তারা টেস্ট অভিষিক্ত হয়েছে। আমি নিশ্চিত তারা আত্মবিশ্বাসী থাকবে। আমাদের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে, সব জায়গায়ই।’
দুই দলের মধ্যে কে ফেভারিট, সেই প্রশ্নটি অবশ্য কৌশলে এড়িয়ে ওয়ালশ বললেন, ‘আপনারাই বলুন। আমরা তাদের বিপক্ষে ভারতের মাটিতে খেলব, তারা টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়েও এগিয়ে। এটা মাথায় রাখতে হবে। আমার মনে হয়, এটা দারুণ একটি লড়াই হবে। আমি তো আমার দলের পক্ষে থাকবই। তবে আত্মতুষ্টিতে ভুগব না। আমরা ক্ষুধার্ত। ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আমাদের র্যাংকিংয়ে উন্নতি ঘটাতে হবে। আমরা সেই চেষ্টাতেই আছি।’
এআরবি/এমএমআর/এমবিআর