ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টি ম্যাচই আমাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ: মাহমুদউল্লাহ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:০৯ পিএম, ২৭ মে ২০১৮

ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখনো নিজেদের প্রমাণ করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সাম্প্রতিক সময়ে ২০ ওভারের এই ক্রিকেটে সফলতা পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে শুরু করার আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জুজু দূর হওয়ার নয়।

ঠিক একই মতামত রাখেন বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার মতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিটি ম্যাচই বাংলাদেশের জন্য নতুন একটি চ্যালেঞ্জ। তবে এই চ্যালেঞ্জে পাশ করতে কোন চাপ নেয়ার পক্ষে নন রিয়াদ। খুব স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের শক্তির জায়গা ধরে রেখে চ্যালেঞ্জ উৎরানোর পক্ষেই তিনি।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ বলেন, ‘আমি এই জিনিসটা (টি-টোয়েন্টির চ্যালেঞ্জ) খুব সিম্পল ভাবে নেই। আমি চ্যালেঞ্জটা যেভাবে দেখি, প্রতিটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আমরা যখন খেলি, ওটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। কিছুদিন আগেও আমাদের সামনে প্রশ্নবোধক একটা চিহ্ন ছিল। এখন ওটা আমাদের সামনে থেকে সরে গেছে। ডে বাই ডে আমরা উন্নতি করছি। এই সিরিজটি আরও একটা সুযোগ, প্রতিটি ম্যাচ জেতার। এই সিরিজটা জিততে পারলে, পরবর্তী সব সিরিজের জন্য দারুন সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘কোর্টনি (ওয়ালশ) একটু আগে বললো, আমরা যে সংস্করণের ক্রিকেটই খেলি না কেন, সব ম্যাচই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ম্যাচই আমাদের বুস্টআপ করবে পরের স্টেপে যাওয়ার ক্ষেত্রে।’

আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির এই চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ দলে থাকছে না কোন ব্যাটিং কোচ। দলের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশকেই দেয়া হয়েছে প্রধান কোচের দায়িত্ব। ব্যাটিং কোচের অনুপস্থিতিতে খুব একটা সমস্যা হবে না বলে মনে করেন রিয়াদ। তার মতে এটিই সুযোগ দায়িত্ব নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার।

রিয়াদ বলেন, ‘যেদিন আমাদের ক্যাম্প শুরু হয় মাশরাফি ভাই ছিল, তামিম- মুশফিক ছিল। এমনকি ব্যাটসম্যানরা যারা ছিল আমরা প্রত্যেকেই কথা বলেছি। আমরা মনে করি এটা আমাদের জন্য বড় একটা সুযোগ। কতটুকু নিজেরা নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে সামনে এগুতে পারি। যদিও ওয়ালশ আছে, সুজন ভাই আছে। উনারা সাহায্য করছেন।’

এসময় তিনি জানান বোলিং কোচ হলেও ব্যাটিং নিয়েও টুকটাক পরামর্শ দেন ওয়ালশ। যাতে করে ঘাটতির জায়গাটা পূরণ করে নিতে পারেন ব্যাটসম্যানরা। রিয়াদের ভাষ্যে, ‘আমি গত পড়শু যখন নেটে ব্যাটিং করছিলাম তখন অনেক বেশি তাড়াহুড়ো করছিলাম। এটা দেখে ওয়ালশ এসে আমাকে বললো যে, তুমি তোমার টাইমিংয়ের উপর আরও একটু জোর দাও। ছোট খাটো এমন উপদেশ তিনি দিচ্ছেন। এই উপদেশটা আমার কাজেও লেগেছিল। সবাই সাহায্য করছে। এখন এটা আমাদের দায়িত্ব, এই দায়িত্ব নিয়ে আমরা যেন সেরা পারফরম্যান্সটা করতে পারি।’

সবশেষ নিদাহাস ট্রফিতে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার অধীনে গ্রুপপর্বের ৪ ম্যাচের ২টিতে জেতে বাংলাদেশ দল। সেই সিরিজের সাফল্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আসন্ন সিরিজেও কোন লক্ষ্য স্থির করেছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে রিয়াদ বলেন,

‘সত্য কথা হচ্ছে নিদাহাস ট্রফির চিন্তাও করছি না। ওই পার্ট চলে গেছে। এটা নিয়ে আমি চিন্তাও করছি না। আমার জন্য যেটা করণীয়, দলের জন্য সাজেশন, প্রতিটি খেলোয়াড়রা মোটিভেট করানো এবং চেষ্টা করা আমরা সবাই মিলে কিভাবে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি। টিম ম্যানেজমেন্টের সবাই মিলে কাজ করছে। এই সিরিজটি অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। খুব একটা সহজ হবে না। আমাদের খুব ভালো ক্রিকেট খেলেই সিরিজটা জিততে হবে। এটা সত্য।’

এসএএস/এমএস

আরও পড়ুন