ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

নিজের জন্য নতুন সুযোগ মনে করছেন মোসাদ্দেক

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৮:৫৬ পিএম, ২০ মে ২০১৮

এ বছর ফেব্রুয়ারিতেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্ট খেলেছেন। কাজেই ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে হিসেব কষলে মাত্র তিন মাস জাতীয় দলের বাইরে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত; কিন্তু সাদা বল আর জাতীয় দলের লাল সবুজ জার্সি গায়ে চড়ছে না ১৩ মাস। গত বছর ৬ এপ্রিল কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষবার মাঠে নামা। এরপর এক বছরের বেশি সময়ে আর লাল সবুজ জার্সি গায়ে মাঠে নামা হয়নি ময়মনসিংহের ২২ বছরের যুবা মোসাদ্দেকের। জাতীয় দলের হয়ে শেষ ওয়ানডে খেলেছেন গত বছর ১৫ জুন ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে।

মাঝে, ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনজাতি ওয়ানডে আসর এবং নিদাহাস ট্রফি খেলা হয়নি। এবার আবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১৫ জনের দলে মোসাদ্দেক।

তাই টেস্টে মাত্র দুই মাসের বিরতি থাকলেও সাদা বল ও রঙ্গিন পোশাকে মোসাদ্দেক জাতীয় দলের বাইরে প্রায় এক বছর। সে কারণেই বিরতিটাকে খুব ছোট মনে করতে চান না মোসাদ্দেক।

আবার জাতীয় দলে ফেরার অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে তাই মুখে প্রথম কথা, ‘আমার কাছে বিরতিটা ছোট নয়। অনেক বড়, প্রায় এক বছর পর আমি আবার রঙিন পোশাকে খেলব বাংলাদেশ দলের হয়ে। আমার কাছে এটা ভালো লাগারই বিষয়। নতুন সুযোগ আমার জন্য।’

মাঝে চোখের সমস্যা ভুগিয়েছে। আবার ব্যাট হাতেও সময়টা খুব ভাল কাটেনি। তা মানতে দ্বিধা নেই। সে কারণেই মুখে এমন কথা, ‘একজন খেলোয়াড়ের ভালো সময়, খারাপ সময় যাবে এটাই স্বাভাবিক। আমার খারাপ সময় গেছে। নিজের উপর বিশ্বাসটা আমারও আছে। সামনে কি হবে বলতে পারব না। তবে আমার চেষ্টা থাকবে সর্বোচ্চটা দেওয়ার।’

মাঝখানে জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন। নিশ্চয়ই এ সময়ে কিছু আত্মউপলব্ধি হয়েছে। সেটা কি? জানতে চাওয়া হলে মোসাদ্দেক বলেন, ‘চিন্তা করার চেয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রয়োগটাই বড়। তা করতে পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব।’

পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে ততটা ভাল খেলেন না। এমন একটা অভিযোগ আছে তার বিপক্ষে। এ অভিযোগকে অযৌক্তিক ও অসাড় দাবি করে মোসাদ্দেকের যুক্তি, আমি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে হয়ত ২৫-২৬টা ম্যাচ খেলেছি। এরমধ্যে তিন থেকে চারটা শুধু দেশের মাটিতে খেলছি। বাকি সব ম্যাচ দেশের বাইরে। দেশের বাইরে যাদের বিপক্ষে খেলছি, ওখানে স্পিনার বলতে নাই আসলে। সব পেস কন্ডিশন। এখন আপনারাই ভালো বলতে পারবেন কি পরিস্থিতি ছিল বা কি কন্ডিশন ছিল। আমি পেস বলে ভালো না স্পিন বলে ভালো। সেটা হয়ত সময়ই বলে দেবে।’

এআরবি/আইএইচএস/পিআর

আরও পড়ুন