ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

একাডেমি কাপ তরুণদের জন্য বিরাট সুযোগ : মাশরাফি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৭:৫৩ পিএম, ১৯ মে ২০১৮

ঢাকার বিভিন্ন কোচিং একাডেমির কিশোর, যুবা ও তরুণ ক্রিকেটারদের দীর্ঘ লালিত স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে অবশেষে। রোববার থেকে শুরু হচ্ছে প্রথম বিসিবি একাডেমি কাপ ২০১৮। তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার তুলে আনার এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

আজ দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে মাশরাফি একাডেমি কাপকে অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ বলে মন্তব্য করে বলেন, ‘এ আয়োজন অবশ্যই খুব ভালো একটা উদ্যোগ।’

এ আয়োজনের জন্য ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাশরাফি। তার কথা, ‘বিশেষ করে বিসিবির ডেভেলপমেন্ট কমিটিকে ধন্যবাদ, সুজন ভাইকে ধন্যবাদ। সাধারণত এ ধরনের টুর্নামেন্ট দেখা যায় না এবং এটা সম্ভবত ঢাকা লিগে যারা খেলেছে, তারা সুযোগ পাবে না। ঢাকা লিগের বাইরের প্লেয়ারদের জন্য এটা বড় একটা সুযোগ। আশা করি তারা এখানে ভালো করলে বিভিন্ন ক্লাব থেকে শুরু করে বিসিবির অধীনে বিভিন্ন জায়গায় সুযোগ পেতে পারে। যারা খেলতে পারেনি, তাদের জন্য দারুণ একটা সুযোগ।’

jagonews24

মাশরাফির অনুভব, এটা নতুনদের প্লাটফর্ম। ‘দেখেন যত বেশি টুর্নামেন্ট হবে, যত বেশি খেলা হবে তত প্লেয়ার উঠে আসবে। এখন তো বিসিবির অধীনে বেশির ভাগ টুর্নামেন্ট শেষ, হয়তো দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিভাগ বাকি আছে। এর বাইরেও একটা টুর্নামেন্ট যারা খেলছে তাদের জন্য এই উদ্যোগ। তারা যদি নিজেদের এক্সপ্রেস করতে পারে, তাহলে কোনো ক্লাব বা বিসিবির অধীনে দলে সুযোগ পেতে পারে।’

যার উদ্যোগে এই বিসিবি একাডেমি কাপ- সেই বিসিবি গেম ডেভোলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন এ আসর নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাশরাফি একটু আগেই বলল, এখানে ক্রাইটেরিয়া হচ্ছে, যারা ঢাকা লিগ খেলে তারাও খেলতে পারবে না। নতুনরা সুযোগ পাবে। এর জন্য এটা পাইলট প্রজেক্ট। এই বছর মাত্র ৩২টি দল নিয়ে খেলছি। এর বাইরেও অনেক একাডেমি আছে ঢাকায়, যারা সুযোগ পাচ্ছে না।’

৩২ দলের বাইরে কেন আর বেশি দল নেয়া হলো না, এর কিছু কারণও তুলে ধরেন সুজন। তিনি বলেন, ‘এর কিছু কারণও আছে। আমরা যে সব ক্রাইটেরিয়া দিয়েছিলাম, যারা মিট করতে পেরেছে তারাই সুযোগ পাচ্ছে। সামনের বছর আমাদের প্ল্যান আছে আরও বড় করে করার। আবার এখন বর্ষা মৌসুম। তার ওপর মাঠও কম। আমরা আশা করছি, পরের বছর অন্যদের খেলার মাঝে মাঝে আমরা যাতে এটা করে ফেলতে পারি। আশা করি, এখান থেকে অনেকে উঠে আসবে। বাবা-মা যাদের একাডেমিতে পাঠাচ্ছে ক্রিকেট শেখার জন্য, তাদের জন্যও একটা বড় অনুপ্রেরণা। আশা করি, পরের বছর ঢাকার বাইরে থেকে দুইটা বা চারটা করে দাওয়াত দেব। ঢাকার বাইরে এটা করব না।’

jagonews24

সুজন জানান, বিসিবি একাডেমি কাপ শেষে ক্রিকেটারদের বাছাই করে কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে, ‘এখান থেকে আমরা প্লেয়ার বাছাই করব। সেটা ২০-২৫ জনের হতে পারে। সেখান থেকে অনুশীলনের ব্যবস্থা করব। সাথে যে চারটা একাডেমি সেমিফাইনালে খেলবে তাদের বিসিবি থেকে সাহায্যের ব্যবস্থা করব। প্রতি বছর চারটা করে করতে পারলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ২০-২৫টি একাডেমি এই সাহায্য পাবে। সব মিলে একটা তৃণমূল সিরিজ থেকে ডেভেলপমেন্ট নিয়ে যেটা বোঝায়, সেটাই করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

এআরবি/আইইচএস/আরআইপি

আরও পড়ুন