দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতেই হবে সফরকারীদের!
সাদা পোশাকের অভিজাত টেস্ট ক্রিকেটে ২০১৫ সালে নতুন এক মাত্রা যোগ হয় দিবা-রাত্রির টেস্ট শুরুর মাধ্যমে। কিন্তু এখনো সব দল ফ্লাডলাইটের নিচে গোলাপি বলের এই খেলার সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেনি। যার ফলে সফরে গিয়ে দিবা রাত্রির টেস্ট খেলার ব্যাপারে আপত্তি জানায় দেশগুলো।
তবে ২০১৯ সালে আসন্ন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সফরকারীদের কোন আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না। আয়োজক দেশ যদি সিরিজের সূচিতে দিবা-রাত্রির টেস্ট রাখে, তাহলে সফরকারী দেশকে অবশ্যই দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটের আভিজাত্যের পাশাপাশি হারাতে বসা জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতেই ২০১৫ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হয় গোলাপি বলের এই ক্রিকেট।
এখনো পর্যন্ত ৬টি ভিন্ন দেশে ১১টি দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলা হয়েছে। উপরের সারির সাতটি দলই খেলে ফেলেছে দিবা-রাত্রির টেস্ট। শুধুমাত্র ভারত, বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে এখনো নামেনি নতুন ধরনেই এই ম্যাচে। তবে ভারতের সামনে সুযোগ ছিলো আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে দিবা-রাত্রির টেস্টে অভিষেক করার। কিন্তু তাদের প্রবল আপত্তির মুখে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া সিরিজে থাকা দিবা-রাত্রির টেস্টটি বাতিল করে দিতে বাধ্য হয়।
ভারতের এমন সিদ্ধান্তের কারণেই মূলত ২০১৯ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আর কারো আপত্তি মাথায় নেয়া হবে না। প্রতি সিরিজে আয়োজক দেশ যদি দিবা-রাত্রির টেস্ট রাখে সূচিতে, তাহলে সব দলকে অবশ্যই খেলতে হবে দিবা-রাত্রির টেস্ট। চলতি মাসের শেষের দিকে মুম্বাইতে হতে যাওয়া সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেবে আইসিসি। প্রয়োজনে সফরকারী দেশগুলোকে সিরিজ শুরুর আগে দিবা-রাত্রির প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরামর্শ দিয়েছে আইসিসি।
আইসিসির সাধারণ সভার কমিটিতে আছেন অনিল কুম্বলে, অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, মাহেলা জয়াবর্ধনে, রাহুল দ্রাবিড়, টিম মে, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট, আম্পায়ার রিচার্ড ক্যাটেলবোরো, আইসিসি ম্যাচ রেফারিদের প্রধান রঞ্জন মাদুগালে, শন পোলক এবং ক্লার কনর। আগামী ২৭ থেকে ২৯মে তারিখে হতে যাওয়া সাধারণ সভায় দিবা-রাত্রি টেস্ট বিষয়ক সিদ্ধান্ত ছাড়াও, ম্যাচের টস প্রথাসহ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নানান বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এই কমিটি।
এসএএস/পিআর