দিল্লিকে বিদায় করে দিলেন কোহলি-ডি ভিলিয়ার্স
সময় মত একসঙ্গেই জ্বলে উঠলেন তারা দু’জন। বিশ্বের সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ভাবা হয় তাদের। বিরাট কোহলি এবং এবি ডি ভিলিয়ার্স।
আইপিএলের চলতি আসরে নিজেদের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে দিল্লির বিপক্ষে এ ম্যাচে জয় অবশ্যম্ভাবী ছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যেমন ঘুরে দাঁড়াতে হয়, ঠিক তেমনি ঘুরে দাঁড়ালেন এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং বিরাট কোহলি। এ দু’জনের ব্যাটে ভর করে পাঁচ উইকেটে দিল্লিকে হারিয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। সে সঙ্গে আইপিএলের এবারের আসর থেকে সবার আগে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেলো দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের।
আইপিএলের ১১তম আসরটা বেশ খারাপই কাটলো দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের। শুরু থেকে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে মাঝ পথে এসে নেতৃত্বের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান গৌতম গম্ভীর। তার পরিবর্তে দায়িত্ব দেয়া হয় স্রেয়াশ আয়ারকে। তরুণ এই অধিনায়কের কাঁধে ভর করে ভালোই ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল দিল্লি, কিন্তু সেই ঘুরে দাঁড়ানো আর হলো না। সবার আগেই বিদায় নিতে হলো তাদের।
দিল্লির মাঠে এ নিয়ে টানা ৬ষ্ঠ ম্যাচ জিতলো ব্যাঙ্গালুরু। ফিরোজ শাহ কোটলা যে তাদের জন্য কতটা পয়া ভেন্যু, তা এ পরিসংখ্যান দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ১৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বেশ বিপদেই পড়ে যায় ব্যাঙ্গালুরু। দলীয় ১৮ রানের মধ্যে পার্থিব প্যাটেল আর মঈন আলির উইকেট হারিয়ে বসে ব্যাঙ্গালুরু।
এরপরই কোহলি আর ডি ভিলিয়ার্স জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় রয়েল চ্যালেঞ্জার্সরা। দু’জন মিলে গড়েন ১১৮ রানের বিশাল জুটি। ৪০ বলে ৭ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৭০ রান করেন কোহলি। এবি ডি ভিলিয়ার্স ৩৭ বলে অপরাজিত ছিলেন ৭২ রানে। ৪ বাউন্ডারির সঙ্গে ৬টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
মানদ্বীপ সিং ১৩ এবং সরফরাজ খান ১১ রান করে আউট হন। ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। দিল্লির হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট ২টি এবং ১টি করে উইকেট নেন সন্দীপ লামিচানে, অক্ষর প্যাটেল এবং অমিত মিশ্র। নেপালি বিস্ময়কর স্পিনার লামিচানেকে দিয়ে বোলিং ওপেন করানো হয় এবং ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন তিনি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ৪ উইকেট হরিয়ে সংগ্রহ করে ১৮১ রান। রিশাভ পান্ত সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন। ১৯ বলে ৪৬ রান করেন অভিষেক শর্মা। ৩২ রান করেন স্রেয়াশ আয়ার।
আইএইচএস/এএইচ/এমআরএম