‘ভাতিজা’ বলেই ইমামকে দলে নিতে নীরব ছিলেন ইনজামাম
ইমাম-উল-হক একজন ক্রিকেটার, আন্তর্জাতিক আঙিনায় পরিচিত নন। তার পরিচয় বলতে গেলে এখন সবার আগে চলে আসে
ইনজামাম-উল-হকের নাম। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমান প্রধান নির্বাচক যে আত্মীয়তার সম্পর্কে ইমামের চাচা! চাচা প্রধান নির্বাচকের পদে বলেই ভাতিজাকে নিয়ে যত দুশ্চিন্তা ইনজামামের। একটু এদিক ওদিক হলেই তো আত্মীয়তার সম্পর্ক ধরে টান দেবে সমালোচকরা।
ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে গত বছর। এবার টেস্টের অভিজাত আঙিনায়ও পা রাখতে যাচ্ছেন ইমাম-উল-হক। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ডাবলিনে আজ থেকে শুরু টেস্টের একাদশেই জায়গা হয়েছে বাঁহাতি এই ওপেনারের। তারপরও ইনজামাম চিন্তিত। বিখ্যাত চাচার ভারটা যেন না আবার চাপে ফেলে দেয় ভাতিজাকে!
বয়সটা মাত্র ২২। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেই জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন ইমাম। তবে প্রধান নির্বাচকের ভাতিজা হওয়ায় মাথায় উপর অদৃশ্য একটা চাপ থাকাই স্বাভাবিক। ইনজামামের তাই ভীষণ দুশ্চিন্তা হচ্ছে ইমামকে নিয়ে।
পাকিস্তান দলের প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আমি চাপ নিয়ে অভ্যস্ত, কারণ আমি দীর্ঘদিন দলে খেলেছি। দুশ্চিন্তা ইমামকে নিয়ে। আমার জন্য তার উপর চাপটা বেশি থাকবে। একজন তরুণের জন্য এটা ভীষণ কঠিন। বিশেষ করে এমন চ্যালেঞ্জিং একটি সিরিজে।’
গত বছর ওয়ানডে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করে নিজের জাত চিনিয়েছেন ইমাম। প্রতিভা আছে জেনেও ভাতিজা বলেই তাকে দলে নিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেননি জানিয়ে ইনজামাম বলেন, ‘যখন ইমামকে দলে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়, আমি পেছনের সিটে চলে যাই এবং নীরব ছিলাম। আমি গ্র্যান্ড ফ্লাওয়ারকে জিজ্ঞাসা করেছি, পরামর্শ নিয়েছি মিকি আর্থারেরও। যখন ইমামকে ওয়ানডে দলে নেয়া হয়, তখনও সমালোচনা হয়েছি। এরপর তো সে একশ করলো।’
এমএমআর/পিআর