সিনিয়রদের সঙ্গে সমস্যা ছিল না : ঢাকায় এসে হ্যালসল
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজ হারের পর দেশে ফিরেই বাংলাদেশ দলের সঙ্গে আর না থাকার সিদ্ধান্তের কথা জানান রিচার্ড হ্যালসল। দলের সহকারী কোচের এই হঠাৎ পদত্যাগের খবরে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে একটি গুঞ্জন ছিল, দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না তার। তবে সোমবার ঢাকায় এসে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার সময় হ্যালসল পরিষ্কারভাবেই জানিয়ে দিলেন, সিনিয়রদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা ছিল না।
ঢাকায় পদত্যাগপত্র জমা দিতে এসে পুরো একটি দিনও বাংলাদেশে থাকেননি হ্যালসল। সোমবার এসে সোমবারই চলে গেছেন স্বদেশভূমি ইংল্যান্ডে। যাওয়ার আগে মাত্র ১০ মিনিটের মতো গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন সাসেক্সের একাডেমি ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করা এই কোচ। সেই সময়ের মধ্যেই পরিষ্কার করলেন, বাংলাদেশের সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার কোনো সমস্যা ছিল না। বরং পরিবারকে সময় দিতেই চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
বাংলাদেশে চার বছরের অধ্যায়ের সমাপ্তি টানার দিনে হ্যালসল বলেন, ‘সিনিয়দের সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা ছিল না। সিনিয়রদের অবশ্যই তাদের মত দেয়ার অধিকার আছে, আমি সেটা ভালো করেই জানি।’
২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সহকারী কোচ ছিলেন হ্যালসল। সে বছরই আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময় বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এর আগে সাসেক্স এবং ইংল্যান্ডের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে কাজ করারও অভিজ্ঞতা আছে হ্যালসলের।
বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন পঞ্চপান্ডবের উপর দাঁড়িয়ে। মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ এই পঞ্চপান্ডব। শুধু এই কজনের উপরই নির্ভর না করে বিকল্প তৈরি রাখার পরামর্শটাও দিয়ে গেলে হ্যালসল, ‘বর্তমান এক দল ক্রিকেটারের উপর নির্ভর করে আপনি ধারাবাহিক সাফল্য পাবেন না। এটা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। অনেক দেশই এটা সফলভাবে করছে- 'এ' দল, হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের মাধ্যমে।’
এমএমআর/আরআইপি