পূর্বাচলের পুরো জায়গাই পাচ্ছে বিসিবি
পূর্বাচলে অত্যাধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বরাদ্দকৃত ৩৭.৫০ একর জমি নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) টানাটানির অবসান হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বিসিবির মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক সভায় পূর্বাচলের পুরো জায়গায় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, কমপ্লেক্স ও পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণের জন্য ক্রিকেটকে দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার ও বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণায়ের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, বিসিবির অন্যতম দুই পরিচালক লোকমান হোসেন ভুঁইয়া ও ডা. ইসমাইল হায়দার মল্লিক। খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সারসংক্ষেপ পাঠাবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র জাগো নিউজকে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে তারা পুরো জায়গার উপর নিজেদের মতো করে কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে পারবে।
রাজউকের বরাদ্দকৃত ৩৭.৫ একর জমির মধ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিসিবিকে স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য দিতে চেয়েছিল ১৭ একর। বাকি ২০.৫ একর জমিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে একটি কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা ছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। সেভাবেই পূর্বাচলে ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও কমপ্লেক্স নির্মাণের সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।
বিসিবি আগে থেকেই পুরো জায়গা চেয়ে আসছিল নিজেদের উদ্যোগে স্টেডিয়াম ও কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য। দুই পক্ষের টানাটানির কারণে প্রধানমন্ত্রী ওই সারসংক্ষেপ অনুমোদন না করে বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করে নতুনভাবে তা প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে। মঙ্গলবার হয়েছে দুই পক্ষের সেই আলোচনা।
বিসিবি মঙ্গলবার পূর্বাচলের পুরো জায়গার উপর কিভাবে স্টেডিয়াম ও কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে তার একটি নকশাও জমা দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এ জায়গার উপর ৬৫ থকে ৭০ হাজার দর্শকধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়াম নির্মান করবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে। কমপ্লেক্সে থাকবে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। সেখানে ফাইভ স্টার হোটেলও নির্মাণ করা হবে।
আরআই/আইএইচএস/পিআর