অনন্য রেকর্ডেও বিব্রত ফিঞ্চ
চলতি আইপিএলে সবচেয়ে বাজে শুরুর তালিকা করে সবার উপরে থাকবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চের নাম। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মিডল অর্ডারের দায়িত্ব সামলাতে নেমে দুই ম্যাচেই ফিঞ্চ ফিরেছেন গোল্ডেন ডাক (এক বলে শুন্য) সাথে নিয়ে।
পরপর দুই ম্যাচে গোল্ডেন ডাক পাওয়া প্রথম ক্রিকেটার অবশ্য নন ফিঞ্চ। তবে একটি জায়গায় ঠিকই প্রথম তিনি। চলতি মৌসুমে পাঞ্জাবের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরপরই আইপিএলের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সাতটি ভিন্ন ভিন্ন দলের হয়ে খেলার অন্যরকম এক রেকর্ডের মালিক হন ডানহাতি এই ওপেনার। ২০১০ সালের আসরে প্রথমবারের মতো আইপিএলে সুযোগ পান ফিঞ্চ।
এরপর একে একে খেলেন রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, পুনে ওয়ারিয়র্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং গুজরাট লায়ন্সের হয়ে। চলতি মৌসুমে পাঞ্জাবে এসে পেলেন আইপিএলে নিজের সপ্তম দল, মালিক হলেন অনন্য এক রেকর্ডের।
তবে এমন এক রেকর্ডে আপ্লুত হওয়ার সুযোগ নেই ফিঞ্চের। খুশি হচ্ছেনও না তিনি। অস্ট্রেলিয়ান সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই রেকর্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করায় বিব্রতবোধ করেন ফিঞ্চ। তিনি বলেন, ‘রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আমি পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে এসেছিলাম এবং একটিমাত্র ম্যাচ খেলতে পেরেছিলাম। এছাড়া যেবার পুনে ওয়ারিয়র্সের নেতৃত্বে ছিলাম, তার পরেরবারই তারা আইপিএল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলো। সাত দলের তালিকা থেকে এই দুই দলকে বাদ দেয়া যায়। তবুও তালিকাটা বেশ লম্বা। সত্যি বলতে গেলে এটা বিব্রতকর।’
বিব্রতকর পরিস্থিতি সাথে নিয়ে আইপিএল খেলতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেননি ফিঞ্চ। নিজের বিয়ের কারণে প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে তিন নম্বরে নামায় পাঞ্জাব। উমেশ যাদবের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরে আসেন তিনি। পরের ম্যাচে পাঁচ নম্বরে নামেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। সেখানে ইমরান তাহিরের গুগলিতে নিজের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
বৃহস্পতিবার সাকিব আল হাসানের সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে হয়তো শেষ সুযোগ দেয়া হবে ফিঞ্চকে।
এসএএস/এমএমআর/এমএস