আইপিএলে মোস্তাফিজ ম্যাজিক
প্রথমবারের মত হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে খেলতে নেমেই বাজিমাত করেছিলেন টাইগার তারকা মোস্তাফিজ। বল হাতে ব্যাটসম্যানদের সামনে রীতিমত আতঙ্কের নাম হয়ে দেখা দিয়েছিলেন। নির্বাচিত হয়েছিলেন সেরা উদীয়মান তারকা ক্রিকেটার।
তবে পড়ে মৌসুমে দেখেন মুদ্রার উল্টো পিঠ। পুরো মৌসুমে মাত্র এক ম্যাচে মাঠে নামেন এই তারকা। নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারায় আর মাঠে নামা হয়নি তার। ফলে পড়ে মৌসুমের জন্য তাকে ছেড়ে দেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। চলতি মৌসুমে নাম লেখান মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে। মুম্বাইয়ের হয়ে প্রথম ম্যাচে নিজের প্রতিভার খুব একটা ঝলক দেখাতে ব্যর্থ হন এই তারকা। ৩৯ রান নিয়ে নেন ১ উইকেট।
এদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে তার সাবেক দল হায়দরাবাদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সাকিবকে নিয়ে চিন্তিত না হলে মোস্তাফিজকে নিয়ে চিন্তিত বলে জানান বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘সাকিব অভিজ্ঞ আর হায়দরাবাদের (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ) ওকে লাগবেই। কিন্তু চিন্তাটা মোস্তাফিজকে নিয়ে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে অনেক পেসার খেলছে। এক-দুই ম্যাচ খারাপ করলে তাই বাদ পড়ার আশঙ্কা থাকবে মোস্তাফিজের।’
তবে নিজের সাবেক দলের বিপক্ষে আসল রূপ দেখা গেল মোস্তাফিজের। নিজের সাবেক সতীর্থদের সামনে আবির্ভাব হলেন রুদ্র রূপ নিয়ে। দেখা মিলল সেই পুরনো মোস্তাফিজের। নিজের প্রথম দুই ওভারে ২০ রান দিলেও তুলে নেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের উইকেট।
তবে আসল মোস্তাফিজকে দেখা যায় ১৬তম ওভারে যখন নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে আসেন। জয়ের জন্য ৩০ বলে ২৭ রান প্রয়োজন ছিল হায়দরাবাদের। উইকেটে ছিলেন ইউসুফ পাঠান ও দীপক হুদার মতো ব্যাটসম্যান। কিন্তু নিজের তৃতীয় ওভারে দিলেন মাত্র ৩ রান।
১২ বলে জয়ের জন্য হায়দরাবাদের প্রয়োজন ১২ রান। অন্যদিকে মুম্বাইয়ের প্রয়োজন ৩ উইকেট এমন সমীকরণ মাথায় রেখে ১৯তম ওভারে আবারও বল করতে আসেন এই কাটার মাস্টার। প্রথম বলে দীপক হুদা নিলেন ১ রান। এরপর ৫টি বল টানা ডট। এরই মধ্যে মোস্তাফিজ নিলেন দুটি উইকেট। তারওপর সিদ্ধার্থ কাউলকে নিজের হাতেই রিটার্ন ক্যাচ বানালেন মোস্তাফিজ। এক হাতেই ক্যাচটি ধরলেন তিনি।
এক বল বিরতি দিয়ে ওভারের শেষ বলে সন্দ্বীপ শর্মাকে ফিরিয়ে দিলেন কাটার মাস্টার। চমৎকারভাবে পুরো ম্যাচটি যেন মুম্বাইয়ের হাতে তুলে দিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। দিনটা হতে পারত মোস্তাফিজদের। কিন্তু শেষ অভাএ ১৪ রান নিয়ে হায়দরাবাদকে জয়ের আনন্দে ভাসান দীপক হুদা। আর পরাজিত দলের সদস্য হয়েই মাঠ ছাড়তে হয় টাইগার এই তারকাকে।
এমআর/এমএস