ইনজুরিতে জর্জরিত আইপিএলের দলগুলো
আইপিএল মানেই বাতাসে টাকার খেলা। আইপিএলের এক মৌসুম খেলেই রীতিমতো ফুলে ফেঁপে ওঠার নজিরও খুব কম নেই। আইপিএলের দলগুলোও এতো এতো টাকার বিনিময়ে চায় শুধু সাফল্য। কিন্তু চলতি মৌসুমে তাদের এই সাফল্যের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দামি পেসারদের ইনজুরি।
নিলামের সময় দলগঠনে নির্ধারিত বাজেটের মধ্যে দল গোছাতে হয় যেকোন ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। অনেক হিসেব-নিকেশ করে নিজেদের বাজেটের মধ্যে থেকে সেরা কম্বিনেশন গড়ার চেষ্টায়ই থাকে সকল ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে এবারের আসরে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিচ্ছে তারকা পেসারদের চোট।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই চোটের কারণে পুরো মৌসুম থেকে ছিটকে যান কলকাতা নাইট রাইডার্সের অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। নিলামে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের সাথে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ৯ কোটি ৪০ লক্ষ রুপিতে স্টার্ককে দলে ভিড়িয়েছিল দুইবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। স্টার্কের বদলে মিচেল জনসনকে তারা দলে ভেড়ালেও, বয়সের ভারে আগের মতো আর কার্যকরী বোলার নেই জনসন। ফলে মৌসুমের বাকি সময়ে স্টার্কের অভাববোধ করতেই হবে কলকাতাকে।
একই চিত্র দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সেরও। স্টার্কের মতোই টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই পুরো মৌসুমের জন্য ছিটকে যান দিল্লির দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার কাগিসো রাবাদা। সময়ের অন্যতম সেরা এই তরুণকে দলে ভেড়াতে ৪ কোটি ২০ লক্ষ রুপি খরচ করে দিল্লি। কিন্তু ইনজুরির কারণে তার সার্ভিস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা।
অস্ট্রেলিয়ান পেসার নাথান কোল্টার নিলকে তুলনামূলক কম মূল্যেই দলে ভিড়িয়েছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। কিন্তু ইনজুরির কারণে তাকে না পাওয়াতে ২ কোটি ২০ লক্ষ রুপির পুরোটাই যাচ্ছে বিফলে। ইনজুরির এই তালিকায় সোমবার যুক্ত হয় আরেক অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্স। ৭ কোটি রুপিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া কামিন্সও ছিটকে যান পুরো মৌসুমের জন্য। তার পরিবর্তে ভালো কোনো পেসারও পাচ্ছে না মুম্বাই।
ইনজুরির লম্বা তালিকায় নাম লিখিয়েছেন শ্রীলংকান দুশমন্থ চামিরাও। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলার কথা ছিল তার। পিঠের ইনজুরির কারণে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে ডানহাতি এই পেসারকে। নিজেদের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টের শক্তি বাড়াতে ভিত্তিমূল্য পঞ্চাশ লক্ষ রুপিতে তাকে দলে ভিড়িয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলার পরই চামিরাকে টুর্নামেন্টের প্রথম অর্ধেকের জন্য হারিয়ে বসলো তারা।
ইনজুরি সমস্যার কারণে ইতোমধ্যেই দলগুলোর পরিকল্পনায় আনতে হচ্ছে বড়সড় রদবদল। চোটের কারণে ছিটকে যাওয়া পেসারদের বদলে দলগুলো পাচ্ছে না যথাযথ পরিবর্তিত খেলোয়াড়ও। এখনো প্রায় পুরোটাই বাকি দীর্ঘ দুই মাসব্যাপী হতে যাওয়া আইপিএলের। দেখার বিষয়, এই সময় আর কোন পেসারকে হারায় কোন দল!
এসএএস/এমএমআর/এমএস