ব্যাটসম্যানদের পড়তে পারার অদ্ভূত ক্ষমতা সাকিবের : ফকনার
নতুন দল সানরাইজার্স হায়দরবাদের হয়ে প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চার ওভার বোলিং করে মাত্র ২৩ রান খরচায় সাকিব ফিরিয়ে দেন রাজস্থানের দুই ব্যাটসম্যানকে। সাকিবের এই অসাধারণ বোলিংয়ের পর চারদিক থেকে ভেসে আসছে প্রশংসা বাণী।
সাকিবকে প্রশংসায় ভাসাতে বাদ যাননি নাক-উঁচু হিসেবে পরিচিত অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার জেমস ফকনারও। অস্ট্রেলিয়ান এই অলরাউন্ডারের মতে, বুদ্ধিমত্তার সাথে স্কিলের মিশেলে সাকিব নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়।
নিজের প্রথম তিন ওভারে কিপটে বোলিংয়ে রাজস্থানের ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখেন সাকিব। শেষ ওভার করতে এসে ফ্লাইটে বোকা বানিয়ে মাত্র তিন খরচায় তুলে নেন জোড়া উইকেট। একইভাবে আউট হন দুই সেট ব্যাটসম্যান রাহুল ত্রিপাথি এবং সাঞ্জু স্যামসন।
ম্যাচ শেষে সাকিবের এই সাফল্যের রহস্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ফকনার বলেন, ‘উইকেট না পেলেও সাকিবের চতুরতার কারণে তার ওভারে রান নেয়া বেশ কষ্টসাধ্য। পাওয়ার প্লে’র দুই ওভার করে মাত্র ছয় করে রান দেয়া এত সহজ ব্যাপার নয়। নিজের স্কিলের যথাযথ প্রয়োগ করার মতো বুদ্ধিমত্তা সাকিবের বড় অস্ত্র।’
সাকিবের বলে আউট হওয়ার আগে ৪২ বল খেলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন সাঞ্জু স্যামসন। অথচ সাকিবের বিপক্ষে ১৪ বল খেলে মাত্র ১২ রান নিতে পারেন তিনি। আর সবশেষ ফ্লাইটে বোকা বনে ক্যাচ তুলে দেন এক্সট্রা কভার অঞ্চলে। স্যামসনের মতোই ফ্লাইটেড ডেলিভারির ফাঁদে পরে মিড উইকেটে ধরা পড়েন ত্রিপাথীও।
সাকিবের ফ্লাইটে ব্যাটসম্যানরা বোকা বনে যাওয়ার বিষয়ে ফকনার বলেন, ‘দেখুন প্রথম তিন ওভারে সাকিব কোনো উইকেট পায়নি। তবুও সে চতুর্থ ওভারে ফ্লাইট দিয়ে ব্যাটসম্যানদের ছক্কা মারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, এটা একপ্রকারের সাহসিকতা। ছক্কা খাওয়ার সাহসিকতা থাকলেই আপনি উইকেট পাবেন। সাকিবও এই জিনিসটাই করেছে। এবং পরপর দুইবার সাফল্য পেয়েছে। ব্যাটসম্যানদের পড়তে পারার অদ্ভুত ক্ষমতা আছে তার।’
এসএএস/পিআর