নারিনকে নিয়ে সংশয়ে কেকেআর
২০১২ এবং ২০১৪ সালের মৌসুমে দুইবার শিরোপা জিতে আইপিএলে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কেকেআরের শিরোপা জয়ের পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল সুনিল নারিনের। তবে এরপরের তিন আসরেই ব্যর্থতার মুখ দেখে দলটি। ২০১৫ সালে প্লে-অফ খেলতে ব্যর্থ হওয়া দলটি পরের দুই আসরে টুর্নামেন্ট শেষ করে চতুর্থ অবস্থানে থেকে।
এ কারণে চলতি আসরে সুসময়ে ফিরতে মরিয়া বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের মালিকানাধীন দলটি। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দুঃসংবাদ শেষ হচ্ছে না কেকেআর শিবিরে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ে আইপিএলের পুরো মৌসুমের জন্য ছিটকে যান দলের অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। এবার রহস্য স্পিনার সুনিল নারিনের ব্যাপারে সংশয়ের দোলাচালে রয়েছে দলটি।
মার্চে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএলে) আবারও অবৈধ বোলিং অ্যাকশনে অভিযুক্ত হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই স্পিনার। ফলে সংশয়ে পড়ে যায় তার আইপিএলে খেলা। আইপিএল কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ি নিয়ম, যে কোন ধরনের ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞায় থাকা কোনো ক্রিকেটার অংশ নিতে পারবে না আইপিএলে। নিজেদের টুর্নামেন্টের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
যার মারপ্যাঁচে এবার আটকে যাচ্ছেন সুনিল নারিন এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। তবে এত সহজেই হাল ছাড়ার পাত্র নয় নাইট শিবির। রোববার চলতি আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলতে নামার আগে, নারিনের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে চায় দলটি।
সে লক্ষ্যে আইপিএলের দ্বিতীয় দিন (রোববার) ম্যাচ শুরুর আগেই নারিনের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে চেন্নাইয়ের অত্যাধুনিক ল্যাবে। যেখানে বোলারের হাতের কব্জি থেকে শুরু করে কনুইয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ নিরীক্ষা করা হয় এবং সেই নিরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনার পর আইসিসির নিয়মানুযায়ী অ্যাকশন বৈধ প্রমাণিত হলেই দেয়া হয় বোলিং করার অনুমতি।
রোববার ইডেন গার্ডেনে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বিরাট কোহলির দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই ম্যাচে নামার আগেই সুনিল নারিনের বোলিংয়ের বৈধতা পাওয়ার এখন তাদের প্রধান চাওয়া।
আইএইচএস/জেআইএম