মোস্তাফিজের জন্য মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে নাফিস ইকবাল
সানরাইজার্স হায়দরাবাদেই ভাষা সমস্যায় পড়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তখন, মোস্তাফিজের স্বার্থেই ডেভিড ওয়ার্নার, ভিভিএস লক্ষ্মণ থেকে শুরু করে সানরাইজার্সের খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তারা গুগল ট্রান্সলেটে বাংলা ভাষা শিখতে শুরু করে দিয়েছিলেন। ওয়ার্নাররা তখন বলেছিলেন, ক্রিকেটই একটা ভাষা। ক্রিকেটীয় ভাষায় মোস্তাফিজের সঙ্গে ভাব বিনিময় করাটা সহজ হয়ে যায়।
কিন্তু মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জন্য সম্ভবত মোস্তাফিজের ভাষা বোঝাটা এত সহজ নয়। কিংবা মোস্তাফিজও তাদের সঙ্গে ভাষাগত সমস্যার কারণে সেভাবে কথা-বার্তা বলতে পারছেন না। এ কারণে, সরাসরি একজন দোভাষির স্মরণাপন্ন হলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে এ ক্ষেত্রে চমক দেখাল আইপিএলের এই ফ্রাঞ্চাইজিটি।
মোস্তাফিজের দোভাষি এবং সমন্নয়কারী হিসেবে বাংলাদেশ থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হলো নাফিস ইকবালকে। তামিম ইকবালের বড় ভাই অনেক আগেই ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছিলেন। গত বিপিএলে তিনি ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন খুলনা টাইটান্সের হয়ে। দলটির কোচ ছিলেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনে। সেখান থেকেই নাফিস ইকবালের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে জয়াবর্ধনের।
মাহেলা জয়াবর্ধনে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে। মূলতঃ মাহেলা জয়াবর্ধনের ইচ্ছাতেই ম্যানেজার কিংবা কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নয়, মোস্তাফিজের দোভাষি এবং সমন্নয়কারী হিসেবে উড়িয়ে নেয়া হলো নাফিসকে।
আজ (সোমবার) সকালেই ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন নাফিস ইকবাল। নিজের ফেসবুক পেজে এই তথ্য নিজেই লিখেছেন নাফিস। তিনি লিখেছেন, ‘কাজ এবং অভিজ্ঞতা মাত্র শুরু হলো... #মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।’
ফেসবুকে নাফিস ইকবালকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার অনূর্ধ্ব-১৭ দলে এক সঙ্গে ক্যারিয়ার শুরু করা বন্ধু মাশরাফি বিন মর্তুজাও। তিনি লিখেছেন, ‘বেস্ট অব লাক বন্ধু। গুড অপরচুনিটি।’
আইএইচএস/এমএস