টেম্পারিং কলঙ্কের টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার লজ্জার পরাজয়
একটা ঘটনাই উল্টেপাল্টে দিলো পুরো অস্ট্রেলিয়া শিবিরকে। একটু সুবিধা পাওয়ার আশায় বল টেম্পারিংয়ের মত ঘৃণ্য কাজ করে বসলেন স্টিভেন স্মিথরা। এরপর ধরা পড়ে দায় স্বীকার করলেও নেতৃত্ব ছাড়তে হয়েছে স্মিথ-ওয়ার্নারদের।
একটা টেস্ট চলাকালীন এত রকম চাপ মাথায় নিয়ে আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৩৩৪ রানের বড় হারের লজ্জা নিয়ে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টটি শেষ করেছে তারা, ম্যাচের একদিন বাকি থাকতেই। এই জয়ে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।
জয়ের লক্ষ্য ছিল ৪৩০ রানের। এই রান তাড়া করে জিততে বিশ্বরেকর্ডই করতে হতো অস্ট্রেলিয়াকে। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটিই যে ৪১৮ রানের। ২০০২-০৩ মৌসুমে সেন্ট জোন্সে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই এই রান তাড়া করে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তবে জয় পাওয়া না হোক, অস্ট্রেলিয়া এই রানের পেছনে ছুটে অন্ততপক্ষে সম্মানজনক একটা হার নিয়ে মাঠ ছাড়বে, আশা করেছিলেন ক্রিকেট ভক্তরা। তবে চাপ যে অনেক সময় পাহাড়ের চেয়েও বড় হয়ে যায়, সেটা দেখা গেল অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্সে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়ে গেছে ৩৯.৪ ওভারেই, মাত্র ১০৭ রানে। টেম্পারিং কলঙ্কে নেতৃত্ব হারানো অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ করেন ৭ রান। আর যাকে দিয়ে টেম্পারিংটা করানো হয়েছে, সেই বেনক্রফট রানআউটের কবলে পড়েন ২৬ রান করে।
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক টিম পেইন অপরাজিত ছিলেন ৯ রানে। আর ৩২ করেও দ্বিতীয় ইনিংসে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান ডেভিড ওয়ার্নারের। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ব্যাটিং দৈন্যতা প্রকাশের জন্য এই কয়জনের দিকে তাকানোই তো যথেষ্ট!
অজি ইনিংসে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর নায়ক পেসার মরনে মরকেল। মাত্র ২৩ রান খরচায় তিনি নেন ৫টি উইকেট।
এমএমআর/জেআইএম