অস্ট্রেলিয়া সরকারও স্মিথকে চায় না
বল টেম্পারিংয়ের দায় স্বীকার করলেও অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন না বলে জানিয়েছেন অজি তারকা স্মিথ। তবে এর কয়েক ঘণ্টা পরই স্টিভেন স্মিথকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দিতে বলেছে দেশটির সরকার। শুধু তাই নয় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল এই ঘটনাকে দুঃখজনক ও হতাশার বলে জানিয়েছেন।
কেপ টাউন টেস্টের তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় সেশনের সময় টিভিতে ধরা পড়ে, হলুদ কাপড়ের মত কিছু একটা পকেট থেকে বের করেছিলেন ব্যানক্রফট। পরে সেটি লুকানোর চেষ্টা করেন তার ট্রাউজারের ভেতরে। আম্পায়াররা অবশ্য তখনই ব্যানক্রফটের সঙ্গে কথা বলেন। তবে বলের অবস্থা পরিবর্তন হয়নি দেখে বল বদলাননি। ৫ রান পেনাল্টি দেওয়ার তাৎক্ষনিক শাস্তির পথেও হাঁটেননি।
এ ঘটনায় অস্ট্রেলিয়া প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় ঘটে যাওয়া ঘটনা শুনে খুবই হতাশ ও মর্মাহত হয়েছি। এটা পুরোপুরি বিশ্বাসের বাইরে ছিল যে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল প্রতারণার সাথে জড়িত ছিল। এ নিয়ে আমি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান ডেভিড পেভারের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমি খুবই স্পষ্টভাবে এ ঘটনা সম্পর্কে আমার হতাশা এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।’
অস্ট্রেলিয়ার স্পোর্টস কমিশনের (এএসসি) চেয়ারম্যান জন ওয়েলি, এএসসি বোর্ড, সিইও কেট পালমার জানিয়েছেন দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
এদিকে এএসসি এক বার্তায় জানিয়েছে, ‘যে কোন ধরনের খেলায় প্রতারণার ঘটনাকে আমরা নিন্দা জানাই। অস্ট্রেলিয়া দল এবং ক্রীড়াবিদরা আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্বকারী। তাই কোনোভাবেই যাতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন না হয় সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।’
শুধু তাই নয় এএসসি স্টিভেন স্মিথের পদত্যাগেরও দাবি করেছে। তাদের মতে স্টিথের উচিত দ্রুত পদত্যাগ করা। পাশাপাশি কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে যারাই এই কর্ম-কাণ্ডেরর সঙ্গে জড়িত আছে তাদের সবার পদত্যাগ করা।
এরই মধ্যে আইসিসির অভিযোগের বাইরেও এই ঘটনা নিয়ে আলাদা করে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। প্রয়োজনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পথ বেছে নেবে বোর্ড, জানিয়েছে প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড।
তবে অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা ভাবছেন না স্মিথ। নিজের পদত্যাগ নিয়ে স্মিথ বলেন, ‘আমি পদত্যাগের কথা বিবেচনা করছি না। আজ আমার দিক থেকে, লিডারশিপ গ্রুপের দিক থেকে ছিল বড় একটা ভুল। তবে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ আমাকেই করতে হবে। আমি অবশ্যই অনুতপ্ত। এখান থেকে শিখে আমি ঘুরে দাঁড়াব।’
এমআর/এমএস