দলকে বিপদে ফেলে মুশফিকও ফিরলেন
৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩৫ রান যোগ করেন মুশফিকুর রহীম আর সাব্বির রহমান। তবে এরপরই মুশফিক বোকার মতো আউট হয়ে গেছেন। অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল মারতে গিয়ে ৯ রান করে চাহালের তৃতীয় শিকার হয়েছেন তিনি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭১ রান।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর লিটন দাস ১৯ বলের জুটিতে তুলে ফেলেন ২৭ রান। তবে ভালো শুরুর পরও আরও একবার হতাশ করেছেন লিটন।
৯ বলে ১ ছক্কায় ১১ রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরকে সুইপ করতে গিয়ে সুরেশ রায়নার ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন এই ওপেনার। এরপর যুজবেন্দ্র চাহালের বলে শার্দুল ঠাকুরের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হন তামিমও। ১৩ বলে ১ চারে ১৫ রান করেন তিনি।
ব্যর্থতার বৃত্ত ফুড়ে এই ম্যাচেও বের হয়ে আসতে পারেননি সৌম্য সরকার। চাহালকে সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে শেখর ধাওয়ানের ক্যাচ হয়েছেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। করেন মাত্র ১ রান।
বাংলাদেশ আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে একাদশ ছিল, সেই অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে। তবে ভারত দলে এসেছে একটি পরিবর্তন। মোহাম্মদ সিরাজের পরিবর্তে এসেছেন জয়দেব উনাদকাত।
সাকিব আল হাসানের দলের সামনে এবার দারুণ এক অর্জনের সুযোগ। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর কখনও কোনো টুর্নামেন্টের ট্রফি জিততে পারেনি টাইগাররা। ভারতের বিপক্ষে তো পরিসংখ্যান আরও নাজুক।
এর আগে নকআউট ম্যাচে তিনবারের দেখায় একবারও ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ফরমেটে এখন পর্যন্ত এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জেতেনি একটি ম্যাচও। সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা আজ ফাইনালের মঞ্চে পারবেন কি সেই আক্ষেপ ঘুচাতে?
এমএমআর/আরআইপি