নাজমুল অপুকে ব্যবহারই করলেন না সাকিব
৯ ওভারে ৪১ রান। উইকেট ৫টি। বাংলাদেশের বোলারদের সামনে শ্রীলঙ্কার রান কত দাঁড়াবে? বড় জোর ১০০ থেকে ১২০। কিন্তু সেই রান শেষ পর্যন্ত গিয়ে দাঁড়াল ১৫৯-এ। এটাই আসলে টি-টোয়েন্টি। যেখানে একজন মাত্র ব্যাটসম্যান কিংবা একটি জুটিই বদলে দিতে পারে ম্যাচের চিত্র। যে কাজটা আজ করলেন শ্রীলঙ্কার দুই পেরেরা- কুশল এবং থিসারা।
এই দুই পেরেরাই খেলছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। কুশল পেরেরা ৬১ এবং থিসারা পেরেরা খেলেন ৫৮ রানের ইনিংস। তাতেই বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়ে গেলো ১৬০ রান। এই রান করতে পারলেই কেবল মিলবে ফাইনালের টিকিট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের ম্যাচে ২১৫ রান তাড়া করে জয়ই হয়তো অনুপ্রেরণা জোগাবে টাইগার ব্যাটসম্যানদের।
কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য আজকের এই ম্যাচে অধিনায়ক সাকিবের বোলার ব্যবহার নিয়ে কেবল বিস্ময়ই তৈরি হয়েছে। ইনিংসের শুরুটা তিনি করলেন নিজে। যেখানে স্পিন শ্রীলঙ্কানরা ভালো খেলেন। সেখানে সাকিব এলেন বোলিং ওপেন করতে। ইনজুরি থেকে ফিরেই তুমুল আত্মবিশ্বাসে ফুটছেন সাকিব- বোঝাই যাচ্ছিল।
শুধু তাই নয়, সাকিবই প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন। গুনাথিলাকাকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন সাব্বিরের হাতে। সাকিব ওই স্পেলে বল করলেন মাত্র ২ ওভার। রান দিলেন ৯টি। উইকেট ১টি। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, এরপর আর বোলিংয়েই আসেননি তিনি। হয়তো হাতের ওপর খুব বেশি চাপ তৈরি করতে চান না বলেই তিনি আর বোলিং করলেন না।
কিন্তু সাকিব সম্ভবত ভূলেই গিয়েছিলেন, তার দলে আরও একজন স্পিনার রয়েছেন। নাজমুল ইসলাম অপু। আগের তিন ম্যাচে যদিও তিনি উইকেটশূন্য। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৫, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০ এবং ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে তিনি দিয়েছিলেন ২৭ রান। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের রানের গতি থামিয়ে দেয়ার কাজটি দারুণভাবেই করেছিলেন তিনি।
আজ ইনিংসের ১৩তম ওভারে যখন মোস্তাফিজের কাছ থেকে ১৮ রান নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার দুই পেরেরা, তখন স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুকেই প্রয়োজন ছিল বেশি; কিন্তু সাকিব অপুকে আনলেন না বোলিংয়ে। আস্থা রাখলেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সৌম্য সরকারের ওপর। সৌম্য ২ ওভার বল করে দিলেন ২১ রান। যদিও ১টি উইকেটও নিয়েছিলেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহ করেন ৪ ওভার। রান দিয়েছেন ২৯। মিরাজ ছিলেন যথেষ্ট কৃপণ। ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৬ রান। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন দুই পেসার রুবেল আর মোস্তাফিজ। যথাক্রমে ৪১ এবং ৩৯ রান করে দিয়েছেন এ দু’জন।
আইএইচএস/পিআর