তৃতীয়বারের মতো নিষিদ্ধ জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান ভিতোরি
অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে তৃতীয়বারেরমত নিষিদ্ধ হলেন জিম্বাবুয়ের পেসার ব্রায়ান ভিতোরি। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ চলাকালীন ভিতোরির অ্যাকশন অবৈধ বলে অভিযোগ ওঠে। আইসিসির নিরপেক্ষ প্যানেল ভিতোরির বোলিং অ্যাকশন বিশ্লেষণ করার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার বোলিংকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে। এই নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য। বোলিং অ্যাকশন রিভিউ করার পর সম্পূর্ণ কাগজ-পত্র আইসিসির কাছে জমা দিলে এরপর পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হবে তার। এরপরই হয়তো বা আবার নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হবেন তিনি।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল জিম্বাবুয়ের। যে ম্যাচটি অফিসিয়ালি ব্রডকাস্ট করা হচ্ছিল না। তবে ম্যাচের ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের সময়ই ভিতোরির বোলিং নিয়ে অভিযোগ ওঠে। তবে, সম্প্রচার না হওয়ার কারণে, নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ভিতোরির বোলিংয়ের ভিডিও করা হয়। ওই ভিডিও পৌঁছানো হয় আইসিসির প্যানেল অব হিউম্যান মুভমেন্ট স্পেশালিস্ট হেলেন বাইন এবং মার্ক কিংয়ের কাছে। তাদের বিশ্লেষণেই ধরা পড়ে, ভিতোরির অ্যাকশন পুরোপুরি অবৈধ।
এরপরই আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী সঙ্গে সঙ্গে বোলিং করা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ব্রায়ান ভিতোরিকে। এই পেসারকে হারিয়ে সঙ্গে সঙ্গে জিম্বাবুয়ে রিচার্ড এনগারাবাকে দলে অন্তর্ভূক্ত করে নেয়। আইসিসিও এর অনুমোদন দেয়।
এর আগে আরও দু'বার নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ভিতোরি। অভিযুক্ত হয়েছিলেন বেশ কয়েকবার। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে প্রথম নিষিদ্ধ হন ভিতোরি। একই বছর জুনে বোলিং অ্যাকশন বৈধ দেখা যাওয়ার কারণে তার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
২০১৬ সালের ২৯ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বুলাওয়েতে ওয়ানডে চলাকালীন আবারও অভিযুক্ত হন ভিতোরি। যে কারণে ওই বছরই ডিসেম্বরে তাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
চলতি বছর ৮ জানুয়ারি প্রিটোরিয়ার হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন। যে কারণে, তাকে আবার বোলিং করার অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হয়। এবার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে এসে আবারও অবৈধ ঘোষণার কবলে পড়লেন ভিতোরি। এই নিষেধাজ্ঞা ভিতোরিকে কতদিন মাঠের বাইরে রাখে, সেটাই দেখার বিষয়।
আইএইচএস/পিআর