দক্ষিণ আফ্রিকায় সাফল্য চান স্মিথও
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটাই প্রচলিত রীতি, হোম অ্যাডভান্টেজই শেষ কথা; কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজে এই নীতি খাটে না। এই দুই দল যখন খেলে, প্রোটিয়াদের জন্য হোম অ্যাডভান্টেজ একেবারেই অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায়। বরং ব্যাপারটা উল্টো হয়ে দেখা যায়, অতিথিরাই ফেবারিট।
যেমন অস্ট্রেলিয়ার মাঠে দুই দলের মধ্যে হওয়া শেষ তিন সিরিজ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আবার অস্ট্রেলিয়া ১৯৭০ সালের পরে দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনও সিরিজ হারেনি। ২০০৫-০৬ সালে শেষবার দু’দেশের মধ্যে সিরিজে হোম টিম জিতেছিল। সেটা জেতে রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া, ২০০৫-০৬ সালে।
চার বছর আগে সেঞ্চুরিয়নে মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বে খেলছিল অস্ট্রেলিয়া। ওই ম্যাচে স্টিভেন স্মিথ এবং শন মার্শ খেলেছিলেন দারুণ দুটি ইনিংস। তাদের এই দুই ইনিংসের ওপর ভর করে এবং পেসার মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজলউড এবং প্যাট কামিন্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভর করে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার সেই স্মিথ নিজেই অধিনায়ক। তারও প্রত্যাশা, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
ফ্যাফ ডু প্লেসি এবং তার দল কি পারবেন দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে? ভারতকে সদ্য ২-১ হারালেও শেষ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার হার দেখিয়েছে, দেশের মাঠে তারা মোটেই অপ্রতিরোধ্য নয়। এবার পূর্ণ শক্তি নিয়ে আজ ডারবানে প্রথম টেস্টে মাঠে নামছে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে টেস্ট ম্যাচটি।
আইসিসি র্যাংকিংয়ে দুই নম্বর দল তারা। দলে রয়েছেন আমলা, ডি ভিলিয়ার্স, ডু প্লেসি এবং ডিন এলগারের মতো ব্যাটসম্যান। বোলিং আক্রমণে থাকছেন মরনে মর্কেল, ভারনন ফিল্যান্ডার, কাগিসো রাবাদা। লুঙ্গি এনগিদিকে চতুর্থ পেসার হিসেবে না খেলিয়ে তেনুইস দ্য ব্রুইনকে বাড়তি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলাতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা।
অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া খেলবে অ্যাসেজে খেলা সিডনিতে শেষ টেস্টের দল নিয়ে। সেখানে কোনো পরিবর্তন নেই। স্মিথ, ওয়ার্নার, খাজা, শন মার্শ থাকবেন ব্যাটে। বলে স্টার্ক, হ্যাজলউড, কামিন্স এবং স্পিনার নাথন লায়ন। স্মিথ বলছেন, ‘এই সিরিজ আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা তৈরি।’
আইএইচএস/আরআইপি