এক বছর নিষিদ্ধ পাকিস্তানের শাহজাইব
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ফিক্সিংয়ের দায়ে আরও এক ক্রিকেটারের শাস্তি হলো। তিনি শাহজাইব হাসান। পাকিস্তান জাতীয় দলে অনিয়মিত খেলা এই ব্যাটসম্যান গত বছর (দ্বিতীয়) পিএসএলে ফিক্সিংয়ের জন্য দোষি সাব্যস্ত হয়ে এক বছর নিষিদ্ধ হলেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (আকসু) তার বিরুদ্ধে এই রায় দিয়েছে।
দুটি অভিযোগে দোষি সাব্যস্ত করা হয় শাহজাইব হাসানকে। পিসিবি অ্যান্টি করাপশন কোর্ডের ২.৪.৪ ধারা এবং ২.৪.৫ ধারায় তাকে দোষি সাব্যস্ত করা হয়। প্রথমোক্ত ধারায় বলা আছে, দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ হাজির করতে না পারা এবং পরের ধারায় বলা আছে, ফিক্সিংয়ের বিষয়ে অবগত হওয়ার পরও যথাযত কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবহিত না করা।
তবে তার বিরুদ্ধে সরাসরি ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ মেলেনি। এ কারণে, তার বিপক্ষে সবচেয়ে কঠিন ধারা ২.১.৪- এর আওতায় কোনো শাস্তিও ঘোষণা করা হয়নি। তেমনটা হলে সর্বোচ্চ আজীবনও নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারতেন তিনি।
শাস্তিটা হয়েছে কেবলমাত্র জুয়াড়ি সাজিদ এবং রবির সঙ্গে যে শাহজাইবের যোগাযোগ হয়েছে এর বিপক্ষে প্রমাণ হাজির করতে না পারা এবং এ বিসয়ে পিসিবির অ্যান্টি করাপশন কর্মকর্তাদের অবহিত না করার কারণেই। একই সঙ্গে গতবছর অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ম ওয়ানডে চলাকালে বাবর আজম এবং শারজিল খান কর্তৃক উসাহিত হয়ে দুর্নীতিতে জড়ানোর যে চেষ্টা তিনি করেছিলেন, তার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ প্রমাণ হাজির করতে না পারা।
তবে, শাহজাইব হাসানের জন্য একই সঙ্গে একটি সুসংবাদও আছে। গত বছর ১৮ই মার্চ পিসিবি কর্তৃক সাময়িক নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। এর অর্থ, এক বছর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হতে তার সামনে আর তিন সপ্তাহের কম সময় বাকি রয়েছে। আগামী ১৭ই মার্চ শেষ হয়ে যাবে তার এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। তবে, শাহজাইবকে আর্থিক দণ্ডও দেয়া হয়েছে। প্রায় ১০ লাখ রুপি।
১৭ই মার্চ শাস্তির মেয়াদ শেষ হলেও, সহসাই তিনি ক্রিকেট মাঠে নামতে পারছেন না। কারণ পিসিবির লিগ্যাল অ্যাডভাইজার তফাজ্জুল রিজভি জানিয়েছেন, ‘১৭ মার্চ হয়তো তার শাস্তির মেয়াদ শেষ হবে। তবে তার অর্থ এই নয় যে, সে খুব দ্রুত মাঠে নামতে পারবে। তাকে মাঠে নামার জন্য একপি পূনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং এরপরই মাঠে নামার অনুমতি পাবে।’
আইএইচএস/আরআইপি