বাবা-ছেলে যখন একই ড্রেসিংরুমে
একবার ভাবুন তো- আপনি একজন পেশাদার ক্রিকেটার। আবার ভাবুন- ড্রেসিংরুমে আপনি সময় কাটাচ্ছেন আপনারই বাবার সঙ্গে। সেই বাবাটিও আবার যেনতেন কেউ নন, খেলাটার কিংবদন্তী। মানিয়ে নেওয়া কঠিন হবে মনে হচ্ছে? তবে ত্যাগনারায়ণ চন্দরপলকে দেখুন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দল গায়ানার হয়ে বাবা শিবনারায়ণ চন্দরপলের সঙ্গে ড্রেসিংরুমটা ত্যাগনারায়ণ শেয়ার করছেন বেশ আনন্দের সঙ্গেই। ৪৩ বছর বয়সী বাবার সঙ্গে ২১ বছর বয়সী সন্তানের বন্ধনটাও একেবারে বন্ধুর মতো।
ত্যাগনারায়ণ মনে করেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলা বাবার কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নিতে পারাটা তার জন্য অনেক কিছু। তবে বাবার রেকর্ডের কথা মাথায় নিয়ে বাড়তি চাপে পড়তে চান না তিনি। ত্যাগনারায়ণ চান নিজের পরিচয়ে গড়ে উঠতে, ‘আমি চেষ্টা করছি নিজের মতো হতে। আপনারা জানেন, আমি তার মতো হতে পারব না। তবে বেশিরবাগ অনুশীলনে আমি তার সাহায্য নেই। সে আমাকে অনেক কিছু দেখিয়ে দেয়।’
চন্দরপল মনে করছেন, তার ছেলের এখন দ্রুত শেখার সময়। যাতে ভবিষ্যতে সুযোগ এলে সেটা লুফে নিতে পারেন। তবে একই ড্রেসিংরুমে থেকে সবসময় ছেলেকে পরামর্শ দিয়ে কান ঝালাপালা করেন না শিবনারায়ণ। তার সঙ্গে ছেলের সম্পর্কটা কেমন সেটা বোঝা যাচ্ছে কথাতেই, ‘আমরা এখনও মজা এবং কৌতুকের মধ্যে সময় কাটাই। যে কোনো খেলাতেই আপনার মজা পেতে হবে। এগিয়ে যাওয়ার এটাই একমাত্র পথ।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে যখন প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন, তখনও সবাই অনেক মজা করতো; মনে আছে চন্দরপলের। তবে যখন প্রয়োজন, তখন সিরিয়াসও হতে হয়েছে জানিয়ে সাবেক এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘যখন আমি উইন্ডিজ দলে ঢুকি, দলে কেনাথ বেঞ্জামিন, অ্যাম্বির (কার্টলি অ্যামব্রোস) অনেকে ছিল যারা খুব মজা করতো। আমি জানি এটা কত গুরুত্বপূর্ণ। এগিয়ে যেতে হলে আপনার আশেপাশে এমন লোকজন দরকার। তবে হ্যাঁ, কখনও মজা আবার কখনও এমন সময় আসে যখন সিরিয়াস হতে হয়। নিজের কাজটা গুরুত্ব দিয়ে করতে হয়।’
এমএমআর/পিআর