নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ট্রান্স-তাসমান সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার
বিশ্ব রেকর্ড গড়ার মাত্র ৫ দিনের মধ্যেই আবারও নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হলো অস্ট্রেলিয়া। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ট্রান্স তাসমান ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ড খারাপ টার্গেট সেট করে দেয়নি অস্ট্রেলিয়ার সামনে; কিন্তু বিশাল রান তাড়া করে জেতার যে বিশ্ব রেকর্ড অস্ট্রেলিয়া স্থাপন করেছে, সেই তেজ তো এখন মিইয়ে যায়নি অস্ট্রেলিয়ানদের শরীর থেকে।
সে কারণেই সম্ভবত, এই সিরিজে অভিষেক হওয়া ডি আর্কি শর্টের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে কারণে বৃষ্টি বিঘ্নিত হওয়া সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ট্রান্স তাসমান ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের শিরোপা উঠলো অস্ট্রেলিয়ার হাতেই।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান তোলে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ১৪.৪ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান তোলার পরই নামে বৃষ্টি। যে কারণে, খেলাই বন্ধ করে দিতে হয়। শেষ পর্যন্ত খেলাই আর মাঠে গড়াতে পারেনি। ওই অবস্থাতেই ডার্কওয়ার্থ এবং লুইসের স্মরণাপন্ন হতে হয় ম্যাচ রেফারিকে।
বৃষ্টি আইন ডার্কওয়ার্থ-লুইসের তত্ত্বে ওই অবস্থাতে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন হতো ১০৩ রান। অর্থ্যাৎ, প্রয়োজনের চেয়েও ১৮ রান বেশি করে ফেলেছে ডেভিড ওয়ার্নারের দল। ফলে অস্ট্রেলিয়াকে ১৯ রানে জয়ী ঘোষণা করা হয় এই ম্যাচে।
নিয়ম অনুসারে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুই দলের অন্তত ৫ ওভার করে খেলা হওয়া প্রয়োজন ছিল। সে ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড তো ২০ ওভার পুরো খেলেছেই, সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া খেলেছে ১৪.৪ ওভার। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সেই ১৪.৪ ওভারকেই ধরা হয় মানদণ্ড। সেই মানদণ্ডে অস্ট্রেলিয়ার মারকুটে ব্যাটসম্যানরা অনেক আগেই পার পেয়ে যায়।
শুরুতে, জয়ের জন্য ১৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নার আর ডি আর্কি শর্টের ব্যাটে ৮ ওভারেই ৭২ রানের জুটি গড়ে ওঠে। এ সময় আউট হয়ে যায় ঝড় তোলা ডি আর্কি শর্ট। তার ৫০ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩০ বলে ৬টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কায়।
এর একটু পরই বিদায় নেন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। ২৩ বলে ২৫ রান করেন তিনি। অ্যাস্টন অ্যাগার ৫ বল খেলে মাত্র ২ রান করে আউট হন। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের এই তিন ব্যাটসম্যানই সাজঘরের পথ দেখেন। এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর অ্যারোন ফিঞ্চ দলকে বৃষ্টির আগ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান। ১৮ বলে ২০ রানে ম্যাক্সওয়েল এবং ১৩ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যারোন ফিঞ্চ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে নিউজিল্যান্ড। ৩৮ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন রস টেলর। এছাড়া ১৪ বলে ২৯ রান করেন কলিন মুনরো। ১৫ বলে ২১ রান করেন মার্টিন গাপটিল। ইস শোধি করেন ১৩ রান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অ্যাস্টন অ্যাগার ৩টি, অ্যান্ড্রু তাই এবং কেন রিচার্ডসন নেন ২টি করে উইকেট।
আইএইচএস/আইআই