টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়ার বিশ্বরেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার
দেখে অনেকের মনে হতে পারে ওয়ানডের স্কোরকার্ড। প্রথমে ব্যাট করা দল করলো ৬ উইকেটে ২৪৩, রান তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেটে ২৪৫ তুলে ম্যাচটা সহজেই জিতে নিলো দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দল।
বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও এটা একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের স্কোরকার্ড। প্রথমে ব্যাট করা দলটি ঘরের মাঠের নিউজিল্যান্ড। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দলটি অস্ট্রেলিয়া।
এমন বিস্ময় ছড়ানো একটি ম্যাচে রেকর্ড হবে না, সেটা কি করে হয়! হলো। কয়েকটি রেকর্ড হলো। তবে শেষ হাসিটা হাসলো অস্ট্রেলিয়াই। শুক্রবার অকল্যান্ডে টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়ার বিশ্বরেকর্ড গড়েই জিতেছে ডেভিড ওয়ার্নারের দল।
টি-টোয়েন্টিতে এতদিন সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটি ছিল ২৩৬ রানের। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে ঘরের মাঠের দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বিশ্বরেকর্ড গড়ার ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া দেখা দিয়েছে আরও ভয়ংকর রূপে। ২৪৪ রানের প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্য তারা পার করে ফেলেছে ৫ উইকেট আর ৭ বল হাতে রেখে!
অকল্যান্ডের ইডেন পার্ক যেন চার-ছক্কার পসরা সাজিয়ে বসেছিল। ম্যাচে দুই দলের ব্যাটসম্যানরা মোট ৩২টি ছক্কা মেরেছেন। যেটি আবার যৌথভাবে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড।
শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিল নিউজিল্যান্ড। মার্টিন গাপটিল ও কলিন মানরো ৬৪ বলের উদ্বোধনী জুটিতেই ১৩২ রান তুলে ফেলেন। ৩৩ বলে ৬টি করে চার-ছক্কায় ৭৬ রান করে আউট হন মানরো।
দুই ওপেনারের উড়ন্ত সূচনার পর ১২ ওভারেই দেড়শ করে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। মানরো ফেরার পর বাকি কাজটা সেরেছেন মার্টিন গাপটিল। ৫৪ বলে ১০৫ রানের দানবীয় এক ইনিংস খেলেছেন ডানহাতি এই ওপেনার, যে ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৯টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের রানটা আরও বড় হতে পারতো। গাপটিল ফেরার পর শেষ ২০ বলে মাত্র ৩১ রান তুলতে পারে কেন উইলিয়ামসনের দল। এর মধ্যে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে তারা। শেষ দিকে রস টেলর ৬ বলে ২ ছক্কায় অপরাজিত ১৭ রান করেন।
জবাব দিতে নেমে নিউজিল্যান্ডের মতোই উদ্বোধনী জুটিতে তাণ্ডব দেখায় অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার আর ডি'অারচি শর্ট ৫১ বলের জুটিতে তুলে ফেলেন ১২১ রান। ২৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৫৯ রান করেন ওয়ার্নার। শর্ট করেন ৪৪ বলে ৭৬। এমন সূচনার পর আর জয় পেতে কষ্ট হয়নি অজিদের। সমান ১৪ বলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৩১ আর অ্যারন ফিঞ্চ করেন অপরাজিত ৩৬ রান।
এই জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের চার ম্যাচে পুরো ৮ পয়েন্টই তুলে নিয়েছে ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলা অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচে এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিউজিল্যান্ডের। সমান ম্যাচে কোনো জয় পায়নি ইংল্যান্ড। ১৮ ফেব্রুয়ারি সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। ফাইনাল খেলতে হলে ওই ম্যাচে জিততেই হবে ইংল্যান্ডকে, আবার নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে রানরেটের ব্যবধানটাও কমাতে হবে।
এমএমআর/আইআই