আশরাফুলের সেঞ্চুরি মাটি করে দিলেন লিটন
বিফলেই গেল মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরিটি। লিটন দাস বলতে গেলে যে একাই হারিয়ে দিলেন তার দল কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে। সাভার বিকেএসপির চার নাম্বার মাঠে লিটনের অপরাজিত ১৪৩ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব।
মোহাম্মদ আশরাফুল মানেই দারুণ ক্রেজ। তিনি মাঠে নামলেই ভক্তরা উদগ্রীব হয়ে থাকেন কি করছেন, তা জানার জন্য। তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানোর পর গত বছরই ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। চলতি বছর আগস্টেই কেটে যাবে তার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিষেধাজ্ঞাও। এরপরই তিনি বিপিএলসহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন।
সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই হয়তো এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগকে বেছে নিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে খেলছেন তিনি। চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগেই দু’টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন বাংলাদেশের লিটল মাস্টার।
প্রথম দুই ম্যাচে আশরাফুলের ব্যাট খুব একটা হাসেনি। প্রথম ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে করেছেন ১৪ রান। বল হাতে নিয়েছেন ১ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে করেছেন ২৫ রান। এবার হেসেছে আশরাফুলের ব্যাট। প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ছন্দে ফিরেছেন।
১৩১ বল খেলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেছেন টেস্ট ক্রিকেটে সর্ব কনিষ্ট এই সেঞ্চুরিয়ান। যে ইনিংসটি ১১ বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজান তিনি। শেষ পর্যন্ত আরাফাত সানির বলে ফরহাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আশরাফুল।
শুধু আশরাফুলই নয়, তার সতীর্থ তাইবুর রহমানও করেছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। ১০৯ বলে ১১৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন তাইবুর রহমান। ৯টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কায় সাজানো ছিল এ ইনিংসটি। আশরাফুল আর তাইবুর মিলে গড়েন ১৮৮ রানের বিশাল এক জুটি। জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র।
২৯১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে একটুও বেগ পেতে হয়নি দোলেশ্বরকে। ইমতিয়াজ হোসেনের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৮৫ রান তুলেছেন লিটন দাস। ৪০ রান করে ইমতিয়াজ ফেরার পর ১৬ রানে ফজলে মাহমুদও আউট হয়ে গেলে একটু অস্বস্তিতে পড়েছিল দোলেশ্বর।
তবে লিটন দাস সেই অস্বস্তি দূর করে দিয়েছেন দারুণ ব্যাটিংয়ে। চতুর্থ উইকেটে মার্শাল আইয়ুবের সঙ্গে ১৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটি গড়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত লিটন অপরাজিত ছিলেন ১৪৩ রানে। ১২৩ বলের ঝড়ো ইনিংসে ১৪টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক এ ব্যাটসম্যান।
মার্শাল আইয়ুবও কম যাননি। ৭৩ বলে ৯১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। যে ইনিংসটি মার্শাল সাজিয়েছিলেন ৯টি চার আর ২টি বাউন্ডারিতে।
এমএমআর/পিআর