‘রাস্তায় গেলে মাইরও খাইতে হতে পারে’
শ্রীলঙ্কার কাছে ঢাকা টেস্টে মাত্র আড়াই দিনে ২১৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারের পর সোশ্যাল মিডিয়ার সব ক্ষোভ যেন গিয়ে পড়েছে দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের ওপর। হারের সব দায় যেন একা খালেদ মাহমুদেরই। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া দেখে খোদ খালেদ মাহমুদ সুজন নিজেই ভীত-শ্রদ্ধ হয়ে উঠেছেন। আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে, তিনি জানালেন- পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে তো রাস্তায় গেলে তাকে মারও খেতে হতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ার রি-অ্যাকশন নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ খালেদ মাহমুদ। শুধু সোশ্যাল মিডিয়া কেন, পুরো মিডিয়ার ওপরই ক্ষুদ্ধ তিনি। তার মতে, মিডিয়ার কারণেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের অগ্রগতি আটকে রয়েছে। নানা কথার ফাঁকে এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘মিডিয়ার কারণে আমাদের ক্রিকেট আটকে আছে কি-না সেটাও দেখতে হবে।’
মিডিয়ায় নানা কথা-বার্তা, বিচার-বিশ্লেষণ লেখা হচ্ছে। ঢাকা টেস্টে পরাজয়ের কারণ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এসব নিয়ে ক্ষুব্ধ সুজন। সবগুলোকে তিনি ‘নোংরামি’ হিসেবে অভিহিত করলেন। মিডিয়াতে যেভাবে লেখা হয়, সেগুলোকেই নোংরামি বললেন তিনি।
খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘(নোংরামি বলতে) সবকিছুই। আমার কথা হচ্ছে সব কিছুই। এটা আসলে বলার কিছু নাই। আপনারাও জানেন, আমরাও জানি। নোংরা বলতে গেলে, মিডিয়াতে যেভাবে লেখা হয়। আমাদের ক্রিকেটের বড় অন্তরায় হচ্ছে, মিডিয়ারও একটা ব্যাপার আছে যে আমরা এত ফিশি হয়ে যাচ্ছি। এখন মিডিয়া ফিশি। মিডিয়ার কারণে আমাদের ক্রিকেট আটকে আছে কি না সেটাও দেখতে হবে। এটা তো বেশি মিডিয়াতে এখন...। আসলে বেসিক ফিল আমার। ক্রিকেট আমরা এত বছর ধরে খেলতেছি। এখন এত গসিপিং হয়। মিডিয়াতে ভাল খারাপ সবই হবে; কিন্তু কিছু কিছু জিনিস নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছি। (যা) ক্রিকেটের জন্য খুব কঠিন।’
এক পর্যায়ে খালেদ মাহমুদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাহলে মিডিয়ার দাবি মেনে নিচ্ছেন? (ঢাকায় হারের কারণ সম্পর্কে মিডিয়ায় যা লেখা হয়েছে...)। এই প্রশ্নের প্রসঙ্গেই এক পর্যায়ে খালেদ মাহমুদ বলে ওঠেন, অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে রাস্তায় গেলে আমাকে মাইরও খেতে হতে পারে। তিনি বলেন, ‘না মিডিয়ার দাবি মানছি না। আমি বলতে চাচ্ছি, আপনারা এটা স্টাবলিশ করতে চান। চন্ডিকা চলে গেল কেন। এটা স্টাবলিশ করানো হইছে। আমরা তো বাচ্চা খোকা না এখন। সবাই তো বড় হইছি। অনেক কিছু স্টাবলিশ করা হয়। আমার পিছে যদি লাইগা থাকা হয়, আমি কোনদিন ভালো করলেও ভাল হব না। এত বছর খালি ভাল করতে তো শুনি নাই। সোশ্যাল মিডিয়া বলেন, মিডিয়া বলেন। আজকে এমনও শুনছি যে রাস্তায় গেলে আমাকে মাইরও খাইতে হতে পারে। তো ক্রিকেট খেলার জন্য মাইর খাইত হইলে এটা তো অকওয়ার্ড আসলে। কথার কথা বলতেছি।’
আইএইচএস/আরআইপি