টি-টোয়েন্টি দলে দুই নতুন মুখ আরিফুল-মেহেদি!
লঙ্কানদের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ঘোষণা হয়ে গেছে। হয়তো দু’একদিনের ভেতরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য স্বাগতিক বাংলাদেশ দলও ঘোষণা হবে। কারণ ১৫ ফেব্রুয়ারি শেরে বাংলায় দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। ঢাকা টেস্টের যে অবস্থা তাতে, অতি নাটকীয় ঘটনা ছাড়া ম্যাচ পাঁচদিনে গড়ানোর সম্ভাবনা খুব কম। কাজেই ধরে নেয়া যায় ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে টেস্ট সিরিজ শেষ হয়ে যাচ্ছে।
হয়তো তার আগেই দল ঘোষণা হয়ে যাবে। তিন জাতি ওয়ানডে আসরের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ। খুব স্বাভাবিকভাবেই কৌতূহলী প্রশ্ন, দলে কি কোন পরিবর্তন আসবে? কোন নতুন মুখ থাকবে? না দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলে আসা দলের সব সদস্যই থেকে যাবেন?
নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট টেস্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাই টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনার কথা সেভাবে শোনা যায়নি। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের কেউ এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে একটি কথাও বলেননি। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর, দলে রদবদল আসছে। অন্তত দু’জন নতুন মুখের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা প্রচুর।
জানা গেছে বিপিএলে ভালো খেলা পারফরমারদের কয়েকজন আছেন বিশেষ বিবেচনায়। এর মধ্যে টপ অর্ডার মোহাম্মদ মিঠুন, মিডল অর্ডার আরিফুল আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অফস্পিনার মেহেদির নাম আছে। পাশাপাশি পেসার আবু জায়েদ রাহির কথাও শোনা যাচ্ছে।
তবে মিডল অর্ডার আরিফুল আর অফস্পিনার মেহেদির (মেহেদি হাসান মিরাজ নয়) দলভুক্তির সম্ভাবনা একরকম নিশ্চত বলে জানা গেছে। ভেতরে খবর, অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের সাম্প্রতিক ফর্মে টিম ম্যানেজমেন্ট নির্বাচকরা অসন্তুষ্ট। তাই তাকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাইরে রাখার চিন্তা ভাবনা চলছে। মিরাজ ওই দলে না থাকলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
এদিকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ওয়ানডে আর টেস্ট দলে জায়গা না পেলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চল্লিশের ঘরে পা রাখা বাঁ-হাতি আক্রমণাত্মক টপ অর্ডার সৌম্য সরকার নির্বাচকদের গুড বুকই আছেন। সৌম্যর দলে থাকা নিয়েও সংশয় নেই।
তবে ইমরুল, এনামুল হক বিজয়, নাসির ও সাব্বিরের অফ ফর্মে ভাগ্য খুলে যেতে পারে মোহাম্মদ মিঠুনের। বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে দারুণ খেলা মিঠুনকেও ঘরের মাঠে লঙ্কানদের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি দলে রাখার কথা ভাবা হচ্ছে।
এআরবি/এমআর/পিআর