মাশরাফি-বিজয় শেষ পর্যন্ত আবাহনীতেই
দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বিরল নজির ঘটিয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজা আর এনামুল হক বিজয় আবাহনীতে যোগ দিতে পারেন-জাগো নিউজের পাঠকরা সেটা জেনে গিয়েছিলেন দিন পনেরো আগেই। এবার সেই খবরটিই সত্য হলো।
ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের দল বদলের ইতিহাসে কোনদিনই যা ঘটেনি। প্লেয়ার্স ড্রাফটে, প্লেয়ার্স বাই চয়েজে- দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে যাওয়ার পর এক দলে যোগ দেওয়া ক্রিকেটার সমঝোতার ভিত্তিতে আবার অন্য দলে নাম লেখানোর মতো ঘটনা ঘটলো এবার।
শাইনপুকুরে নাম লেখানো দেশের শীর্ষ তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজা শেষ পর্যন্ত হয়ে গেলেন আবাহনীর। শুধু তিনি নন, খেলাঘর সমাজ কল্যাণের হয়ে চুক্তি করা জাতীয় দলের ওপেনার এনামুল হক বিজয়ও যোগ দিয়েছেন আকাশি হলুদ শিবিরে।
সিসিডিএম (ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ) এবার এক অদ্ভূত নিয়ম করেছে, একজন আইকন ও অন্য ক্যাটাগরির আরেকজনসহ মোট দু’জন ক্রিকেটার প্লেয়ার্স ড্রাফটের পর পারস্পরিক সমঝোতায় অন্য দলে যাবার সুযোগ থাকবে। সিসিডিএমের দাবি, যেহেতু প্লেয়ার্স ড্রাফটে লটারির মাধ্যমেই আইকন ক্রিকেটার পাওয়া যায়, তাই হয়তো কম পুঁজির দলেও বড় মাছ ধরা পড়তে পারে।
তবে এনামুল হক বিজয়ের খেলাঘর ছেড়ে আবাহনীতে যোগ দেওয়ার কারণ ভিন্ন। সেটা অর্থের কারণেই। আইকন ক্যাটাগরির বিজয়ের পারিশ্রমিক ২৫ লাখ টাকা। বলার অপেক্ষা রাখে না, সেই মূল্যে কম পুঁজি ও শক্তির দল খেলাঘর দু’জন মাঝারি মানের ও একজন জুনিয়র ক্রিকেটারকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। তাই বিজয়কে ছেড়ে দিয়েছে খেলাঘরই।
এদিকে, বিজয়কে ছেড়ে আবাহনী থেকে হাসান মাহমুদকে নিয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি।
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম