উইকেট ছুঁড়ে এলেন ইমরুল
চট্টগ্রাম টেস্টে কী নিজেদের ইচ্ছেতেই হারতে বসেছে বাংলাদেশ? প্রশ্নটা জাগার কারণ অবশ্যই আছে। বাংলাদেশের করা ৫১৩ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা থেমেছে ২০০ রান বেশি করে, অথ্যাৎ ৭১৩ রান করে।
২০০ রান পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে যেখানে চরম ধৈয্যের পরিচয় দেয়ার কথা, সেখানে কেন নিজে নিজে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসতে হবে ওপেনার ইমরুল কায়েসকে? দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল আর তামিমের সাবধানি সূচনাটা অনেকেরই হয়তো ভালো লেগে থাকবে। কিন্তু টেস্টে ধৈয্যের পরিচয় তো সহসা আউট হওয়ার মধ্যে নয় কিংবা বিপজ্জনক শট খেলার মধ্যেও নয়।
এই চিন্তাটা উদয় হচ্ছে না বলেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বারবার আত্মাহুতি দিয়ে থাকে। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ট্র্যাক রেকর্ড খুব একটা ভালো নেই, সেখানে কেন বিপজ্জনক শট খেলে উইকেট হারিয়ে আসবে? ইমরুল কায়েস তো সে কাজই করলেন।
চট্টগ্রামের উইকেট যে পুরোপুরি ব্যাটিং বান্ধব সেটা তো লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা প্রমাণ করেই ছেড়েছেন। সেখানে তামিম আর ইমরুলের সাবধানি শুরু এবং রান করাতে অবাক করার কিছুই নেই। কিন্তু হঠাৎই ধৈয্যহারা হয়ে পড়লেন ইমরুল কায়েস। দিলরুয়ান পেরেরার বলে স্কোয়ার লেগে শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন ইমরুল। সেখানে দাঁড়ানো দিনেশ চান্ডিমালের হাতে অতি সহজেই তালুবন্দী হয়ে যায় বলটি। ১৯ রান করে ফিরে যান ইমরুল।
এ রিপোর্ট লেখার সময় দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের রান ১ উইকেট হারিয়ে ৬১। উইকেটে রয়েছেন ৩৬ রান নিয়ে তামিম এবং ৬ রানে মুমিনুল হক। লঙ্কানদের চেয়ে এখনও ১৩৮ রান পেছনে বাংলাদেশ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৫১৩ রান। মুমিনুল ১৭৬, মুশফিক ৯২ এবং মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৮৩ রানে। জবাব দিতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে ৭১৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। ১৯৬ রান করেন কুশল মেন্ডিস, ১৭৩ রান করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা এবং ১০৯ রান করেন রোশেনা সিলভা।
আইএইচএস/আরআইপি