বড় লিডের পথে শ্রীলঙ্কা
শুরু থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলে তুলে নিয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে এরপর আর বেশি সময় উইকেটে থাকা হয়নি ডিকভেলার। মিরাজের বলে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন এই ব্যাটসম্যান। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬২ রান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লঙ্কানদের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ৬৭০ রান। বাংলাদেশ থেকে সফরকারী দলটি ১৫৬ রানে এগিয়ে আছে। পেরেরা ২২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে এসেছেন হেরাথ।
চতুর্থ দিনের শুরু থেকেই দেখে শুনে ব্যাট করে শুরুতেই বাংলাদেশের ৫১৩ রান পাড় হয়ে দলকে লিড এনে দেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান রোশেন সিলভা ও চান্ডিমাল। সিলভা তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। এরপর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি রোশান সিলভা। মিরাজের বলে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১০৯ রানে সাজঘরে ফিরে গেছেন রোশেন সিলভা। আর এতেই সিলভা ও চান্দিমালের ১৩৫ রানের জুটি ভাঙে।
সিলভার বিদায়ের পর দেখে শুনে ব্যাট করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে চান্দিমালও। তবে লাঞ্চ শেষে ব্যাট করতে নেমে তাইজুল ইসলামের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন লঙ্কান অধিনায়ক। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮৭ রান।
এর আগে তৃতীয় দিনের শুরুতে উইকেটের আকাঙ্খা ছিল বাংলাদেশের বোলারদের; কিন্তু মেন্ডিস আর ধনঞ্জয়া মিলে যেন চীনের মহাপ্রাচীর তৈরি করেছেন মিরাজ, সানজামুল এবং মোস্তাফিজদের সামনে। ৩০৮ রানের বিশাল জুটি গড়ার পর দারুণ এক ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, তখন তার ওপর আক্রমণটা হানতে সক্ষম হন মোস্তাফিজুর রহমান।
নতুন বলে কোনাকুনি ডেলিভারি দেন মোস্তাফিজ। ব্যাটসম্যান ভেবেছিলেন পুল করবেন। কিন্তু বল ব্যাটের উপরের প্রান্ত ছুঁয়ে গিয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে। ভাঙে বিশাল এক জুটি। ১৭৩ রান করে ফিরে যান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
ধনঞ্জয়া আউট হলেও রোশেন সিলভাকে নিয়ে ১০৭ রানের জুটি গড়েন কুশল মেন্ডিস। তিনি দাঁড়িয়ে একেবারে ডাবল সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে; কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। নিজের জন্মদিনটাকে ডাবল সেঞ্চুরি দিয়ে রাঙাতে পারেননি। ১৯৬ রানে দাঁড়িয়ে এ সময় কুশল মেন্ডিস। তাইজুল ইসলামের আউটসাইড অফের বলটিকে ফ্লিক করতে চাইলেন মিডউইকেটের ওপর দিয়ে। ক্যাচ উঠে গেলো। ফিল্ডার মুশফিকুর রহীম দারুণ এক ডাইভে ক্যাচটি তালুবন্দী করে নিলেন।
পরিসমাপ্তি ঘটলো ১৯৬ রানের এপিক ইনিংসের। গত বছর গলে বাংলাদেশের বিপক্ষেই ১৯৪ রান করে আউট হয়েছিলেন মেন্ডিস। এবারও তিনি কাটা পড়লেন নার্ভাস নাইনটিজে। সারাদিনে সাফল্য বলতে শুধুমাত্র এই দুটি উইকেটই। বোলারদের এরপর ছিল শুধুই হতাশার সময়।
এমআর/এমএস