মাহমুদউল্লাহ সাপোর্ট পেলে চিত্র অন্য রকম হতো : মাশরাফি
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাই লড়লেন। ফাইনালে দুই দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রানও করলেন (৭৬ রান)। কিন্তু দিন শেষে তার নামের সঙ্গে 'ম্যান অব দ্যা ম্যাচ' যুক্ত হল না। কি করে হবে? তার ৭৬ রানের ইনিংসে তো আর বাংলাদেশ জিতেনি। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২২১ রান তাড়া করে বাংলাদেশ হেরেছে ৭৯ রানে।
২২১ রানকে খালি চোখে কম মনে হলেও কাল (শনিবার) শেরে বাংলায় যে পিচে খেলা হয়েছে তাতে ওই রান টপকে যাওয়া সহজ ছিল না। সেখানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের একার লড়াই সফল হবে কেন? আর কেউ তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারলে হয়তো ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো। কিন্তু ‘সোনার হরিণ’ হয়ে থাকা ফাইনালে যা করার একাই করলেন মাহমুদউল্লাহ। মুশফিক কিছুক্ষণ তার সঙ্গে হাঁটলেন, কিছুদূর এগিয়েও গেলেন, তারপর রিয়াদকে একা ফেলে ফিরলেন সাজঘরে। আর বাকিরা ব্যর্থতার মিছিলে। তাই তো আবাব ফাইনালে হার বাংলাদেশের।
ক্রিকেট বোদ্ধা থেকে শুরু করে অজো পাড়া গা- পাড়ার কিশোর ছেলেটিও একমত, লম্বা জুটি গড়ে ওঠার না কারণেই বাংলাদেশের হার। শনিবারের ফাইনাল শেষে এ কথা মাশরাফির কণ্ঠেও। টাইগার অধিনায়কও মানলেন রিয়াদকে সাপোর্ট দিতে পারলে চিত্রটা অন্যরকম হতে পারতো। এ নিয়ে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘আরেক পাশের সাপোর্ট অবশ্যই প্রয়োজন ছিল। রিয়াদ শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছে। ওই সময় শটস খেলাটা খুব স্বাভাবিক। ৩-৪-৫ থেকে যদি সাপোর্ট পেত তাহলে ওর খেলাটা আরও ডিপে যেত। আমি যখন উইকেট যাই দেখিছি, তখনো ও চেষ্টা করছিল। পার্টনার হেল্প না করতে পারলে আসলেই কঠিন।’
এদিকে চতুর্থ উইকেটে মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৫৮ রানের জুটি অনেককে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিল। তবে ২২ রান করে মুশফিকের বিদায়ের পর ছন্দপতন ঘটে। এ নিয়ে টাইগার অধিনায়ক আরও জনানা, ‘মুশফিক যতক্ষণ ব্যাটিং করেছে আমরা ম্যাচে ছিলাম। ওখান থেকে বড় করলে অন্যরকম হত। আমি নিশ্চিত ও নিজেও হতাশ। ভালো সুযোগ ছিল, রিয়াদ যেভাবে ব্যাট করছিল, ও যেভাবে ব্যাট করছিল। এমন না যে রান হচ্ছিল না। রানও ৫,৬ করে আসছিল। আমাদের দরকারই ছিল ওটা। কম হলেও কোন কোন ওভারে সমস্যা ছিল না। দলের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে পুরো ম্যাচটাই যখন হেরেছি আমরা সবাই হতাশ।’
এআরবি/এমআর/এমএস