অভিষেকেই হ্যাটট্রিক মধুশঙ্কার
শেহান মধুশঙ্কা। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের আবিস্কার। ত্রিদেশীয় সিরিজে তাকে দলভুক্ত করার পরই আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে মধুশঙ্কার নাম। তবে ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলতে আসার পর তাকে কোনো ম্যাচেই খেলাননি কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। যেন তুনের সবচেয়ে ধারালো তীরটি তিনি ধরে রেখেছেন ফাইনালের জন্য।
ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাই প্রায় ২৩ বছর বয়সী এই পেসারকে অভিষেক করালো শ্রীলঙ্কা। অভিষিক্ত ম্যাচেই বাজিমাত করে দিলেন তিনি। দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক পূরণ করলেন লঙ্কান এ মিডিয়াম পেসার।
বাংলাদেশের ইনিংসের ৪০তম ওভারের শেষ দুই বলে তিনি সাজঘরে ফেরান মাশরাফি এবং রুবেল হোসেনকে। ওভারের ৫ম বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মাশরাফিকে। পরের বলেই বোল্ড করলেন রুবেল হোসেনকে। ৪২তম ওভারে বল করতে এসেই প্রথম বলে উপুল থারাঙ্গার হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।
সেই সঙ্গেই হ্যাটট্রিক পূরণ হয়ে গেলো মুধশঙ্কার। শুধু তাই নয়, এরই সঙ্গে বাংলাদেশকে ৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতে নিল শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে অভিষেকে হ্যাটট্রিক করেছিলেন বাংলাদেশের তাইজুল ইসলামও। তিনিই ছিলেন ওয়ানডেতে অভিষিক্ত ক্রিকেটার হিসেবে হ্যাটট্রিক করা প্রথম বোলার।
মধুশঙ্কাকে নিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের অভিষেকে মোট চারজন বোলার হ্যাটট্রিক করার সৌভাগ্য অর্জন করলেন। প্রথম ছিলেন তাইজুল ইসলাম। এরপর অভিষেকে হ্যাটট্রিক করেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। তৃতীয় বোলার হিসেবে অভিষেকে হ্যাটট্রিক করেন শ্রীলঙ্কারই ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা।
আইএইচএস/আরআইপি