বিজয় কি বাদ পড়বেন?
প্রায় তিন বছর পর দলে ফিরেছেন। এনামুল হক বিজয়ের উপর অনেক প্রত্যাশা সমর্থকদের। তবে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির মেলবন্ধনটা ঘটাতে পারছেন না প্রতিভাবান এই ব্যাটসম্যান। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের জোয়ার তুলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেও মাঠে নিজের ছায়া হয়েই রয়েছেন তিনি।
চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম দুই ওয়ানডেতে তবু ১৯ আর ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেছিলেন। শেষ দুই ওয়ানডেতে বিজয়ের রান ১ এবং ০। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজকের ম্যাচে তো খুবই দৃষ্টিকটুভাবে আউট হয়েছেন এই ওপেনার, যে ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরেছে বড় লজ্জা নিয়ে।
লজ্জাজনক হারের পর ব্যর্থতার ময়নাতদন্ত শুরু হবে, এটাই স্বাভাবিক। ফাইনালের দলে ইমরুল কায়েসের ফেরা অনেক কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারও বুঝতে বাকি থাকার কথা নয়, বিজয়ের পারফরম্যান্সে খুব একটা আস্থা রাখতে পারছেন না নির্বাচকরা।
২৭ জানুয়ারি ফাইনালে তাই তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে অভিজ্ঞ ইমরুলকেই। ভাবা হতে পারে, আরেক ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুনের কথা। নাকি শেষবারের মতো আরেকটি সুযোগ পাবেন বিজয়?
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছেও ছুটে গেল এই প্রশ্নটা-বিজয়কে কি আর সুযোগ দেওয়া হবে? মাশরাফি অবশ্য এই প্রশ্নের উত্তরটা বেশ কৌশলে দিলেন। সরাসরি হ্যাঁ-ও বললেন না, না-ও বললেন না।
টাইগার দলপতি বিজয়ের সুযোগ পাওয়া না পাওয়া নিয়ে বলেন, ‘আসলে নিশ্চিত না। কেবল তো খেলাটা শেষ করে আসলাম। এটা নিয়ে ভাবার বিষয় আছে। বিজয়কে নিয়ে তো অনেক কথা হয়েছে। সে ঘরোয়া সব পর্যায়ে রান করেছে, বিপিএল বলেন, ফার্স্ট ক্লাস বলেন। আপনারাই তাকে এক্সপোজ করেছেন। তার উপর পূর্ণ আস্থা ছিল। তাকে নিয়মিত খেলিয়ে যাচ্ছি। সে যতক্ষণ আছে অবশ্যই আমরা তাকে ব্যাকআপ করছি। কঠিন সময় যেতে পারে। এমন না যে ফার্স্ট ক্লাসে রান করে এসেই আপনি আন্তর্জাতিক ম্যাচে রান করবেন। আমাদের ফার্স্ট ক্লাসের সঙ্গে একটা গ্যাপ অবশ্যই আছে।’
বিজয়ের বাদ পড়ার বিষয়টি পরিষ্কার করে না বললেও মাশরাফির কথায় স্পষ্ট, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটের একটা পার্থক্য আছে। সেই বিবেচনায় হয়তো আন্তর্জাতিক আঙিনায় অভ্যস্ত ইমরুলই ফাইনালে তামিমের সঙ্গী হবেন। সেটা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এমএমআর/আইআই