আরেকটু রয়ে সয়ে ব্যাটিং করা উচিত ছিল : মাশরাফি
ব্যাটিংটাই ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। যে উইকেটে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের একেবারে বিপদেই ফেলতে পারলেন না টাইগার বোলাররা, সেই উইকেটেই আগে ব্যাটিং করতে গিয়ে রীতিমত নাকানি চুবানি খেয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।
শুরু থেকেই যেন একটু বেশি আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ১৬ রানে ৩টি উইকেট হারানোর পরও কাউকে দায়িত্ব নিয়ে খেলার চেষ্টায় দেখা যায়নি।
এক মুশফিকুর রহিম একটু চেষ্টা করেছিলেন। তবে ৫৬ বল খেলে তিনিও ২৬ রানের বেশি এগোতে পারেননি। বাকিরা যেন উইকেট বিলিয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। ফলাফল, ২৪ ওভারে ৮২ রানেই অলআউট সবার আগে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে নাম লেখানো দলটি।
এমন বাজে ব্যাটিংয়ের কারণ কি? ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, তাড়াহুড়ো করেই বিপদ বাড়িয়েছেন তার দলের ব্যাটসম্যানরা।
বিশেষ করে সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবালের মতো নির্ভরযোগ্য দুই ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরার পর মিডল অর্ডারের আরও একটু রয়ে-সয়ে খেলা উচিত ছিল, এমনটাই মনে করছেন মাশরাফি, 'তামিম-সাকিব চটজলদি আউট হবার পর বিশেষ করে যখন ৪ উইকেট পড়লো, তখন আমরা আরও একটু রয়ে সয়ে ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করলে হয়তো ভালো হতো। শুধু টেস্ট ক্রিকেটেই নয়, প্রাথমিক বিপর্যয় কাটাতে কখনও কখনও সীমিত ওভারেও রয়ে সয়ে খেলাটা খুব জরুরি।'
পরিস্থিতির প্রয়োজন বুঝে ব্যাটিং করলে এই ম্যাচেও বাংলাদেশের ২০০-এর মতো রান করা সম্ভব ছিল, বিশ্বাস করেন মাশরাফি, 'আমার মনে হয়, চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও আমরা উইকেট আগলে রাখার বদলে একটু বেশিই আগ্রাসী ছিলাম। স্ট্রাইকরেটের প্রতি আমরা বেশি মনোযোগি ছিলাম। অমন বিধ্বস্ত সূচনার পর ৫০ স্ট্রাইকরেটেও যদি বড় বা লম্বা জুটি হতো, তাহলে শুরুর ধাক্কা সামলে ১৮০ থেকে ২০০তে পৌঁছানো সম্ভব ছিল। কিন্তু আমরা সেই পথে হাঁটিনি।'
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম