মাশরাফিকে ছোঁয়া হলো না সাকিবের
দারুণ সুযোগ ছিল সাকিব আল হাসানের সামনে। টানা দুই ম্যাচে 'ম্যান অব দ্য ম্যাচ' হয়ে কাজটা বেশ এগিয়ে রেখেছিলেন এই অলরাউন্ডার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজও ব্যাটে বলে দুর্দান্ত খেলেছেন, কিন্তু 'ম্যাচসেরা' হওয়া হয়নি সাকিবের।
আজ সাকিব 'ম্যান অব দ্য ম্যাচ' হতেই পারতেন। ব্যাট হাতে ৫১ রানের পর বল হাতে ৩৪ রানে ৩ উইকেট। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের সামনে সুযোগ ছিল আরেকবার দলের জয়ের নায়ক হিসেবে মঞ্চে দাঁড়ানোর। তবে আগের দুই ম্যাচেই ৮৪ করে রান করেও সাকিবের জন্য 'ম্যাচসেরা' হতে না পারা তামিম এবার বন্ধুকে পেছনে ফেলেছেন। ৭৬ রান করে জিতে নিয়েছেন কাঙ্খিত পুরস্কারটি।
তামিম যে কেন 'ম্যাচসেরা' হতে গেলেন! বন্ধুকে তো বড় একটা অর্জন থেকে বঞ্চিত করলেন দেশসেরা এই ওপেনার। কি সে অর্জন? এই ম্যাচে 'ম্যান অব দ্য ম্যাচ' হলে টানা তিন ম্যাচে এই কৃতিত্ব দেখাতে পারতেন সাকিব। ছাড়িয়ে যেতে পারতেন মাশরাফি বিন মর্তুজার অনন্য কীর্তিকে।
বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে একমাত্র মাশরাফি বিন মর্তুজাই এক সিরিজে টানা তিন ম্যাচে 'ম্যাচসেরা' হওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। অনেকের হয়তো সে কথা মনেও নেই। সেটা যে প্রায় ১২ বছর আগের কথা। ২০০৬ সালে কেনিয়া সফরে তিন ম্যাচেই জিতেছিল বাংলাদেশ, মাশরাফি 'ম্যাচসেরা' হয়েছিলেন সব কটি ম্যাচেই।
প্রথম ম্যাচে ১০ ওভার বোলিং করে মাশরাফি ২৫ রান খরচায় নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ ওভারে ৫৩ রানে ৩ উইকেট আর ব্যাট হাতে ৫৩ বলে অপরাজিত ৪৩ রান। ওই রানটিও করেছিলেন এমন সময়ে, যখন দলকে হারের শঙ্কা পেয়ে বসেছিল। নবম উইকেটে আবদুর রাজ্জাককে নিয়ে ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি ছিল মাশরাফির। বাংলাদেশ পেয়েছিল ২ উইকেটের নাটকীয় জয়।
টানা দুই ম্যাচে সেরা হওয়ার পর তৃতীয় ওয়ানডেতে রীতিমত আগুন ঝড়ানো বোলিং করেন মাশরাফি। ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৬ রানে ৬টি উইকেট নিয়েছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস, যেটি এখন পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। এমন পারফরম্যান্সের পর কি আর কারও 'ম্যাচসেরা' হওয়ার সুযোগ থাকে?
এবার সাকিবের সামনে ছিল মাশরাফিকে ছুঁয়ে ফেলার সুযোগ। পারলেন না।
এমএমআর/এমএস