আমার আরও সেঞ্চুরি করা উচিৎ ছিল : তামিম
ক্যারিয়ারটা হয়ে গেছে প্রায় ১১ বছরের। বয়সও কম হয়নি। ২৯ ছুঁই ছুঁই। ক্যারিয়ারের দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার পরও তামিম ইকবালের নামের পাশে কেবল ১৭৬টি ওয়ানডে এবং ৫২টি টেস্ট। ওয়নাডেতে সেঞ্চুরি সংখ্যা ৯টি এবং হাফ সেঞ্চুরি ৪০টি। চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে থামতে হয়েছে তাকে। প্রথমবার তো প্রতিপক্ষে রানের অভাবেই সেঞ্চুরি করা হলো না। দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্ভাগ্যের কারণে আউট হয়ে গেলেন। দুই ম্যাচেই করেছেন সমান ৮৪ রান করে।
তবে সেঞ্চুরি না হলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে ৮৪ রান করার কারণে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন বাংলাদেশের এই ড্যাশিং ওপেনার। সে সঙ্গে চলে গেলেন ওয়ানডে ক্রিকেটে ৬ হাজার রানের খুব কাছাকাছি। আর মাত্র ৬৬ রান করতে পারলেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলবেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফিরতি লেগের আগে তামিম ইকবালের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তার কাছে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ? ৬ হাজার রান নাকি সব মিলিয়ে ১১ হাজার রান, কোনটা গুরুত্বপূর্ণ তার কাছে?
জবাবে তামিম জানালেন দুটো মাইলফলকই আলাদা আলাদা। শুধু তো তার নিজের নয়, সাকিরেব ১০ হাজার আছে, মুশফিকের ৩০০ ম্যাচ আছে। তিনি বলেন, ‘দেখেন, দুটোই মাইলফলক। কেউ দশ হাজার রান করলে এটা অবশ্যই মাইলস্টোন। জানি না, কয়জন করছে। সাকিবের ১০ হাজার হয়েছে, মুশফিক সব মিলিয়ে ৩০০ ম্যাচ খেলেছে। এটাও মনে হয় না যে, খুব বেশি মানুষ করেছে। আমাদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে বিষয়গুলো ভাল লাগে।’
তামিমের মতে, এখন যে অবস্থা ভবিষ্যতে এর চেয়ে অনেক ভালো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আজ থেকে ১০ বছর পরের ক্রিকেটারদের প্রত্যাশাই থাকবে অন্যরকম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটে দুই-তিন বছর হলো ভালো খেলতে শুরু করেছে। আমাদের সত্যি কথা, কোন রেকর্ডও একসময় হয়ত ছিল না। কারণ আমরা শিখছিলাম। আমরা খুব নতুন ছিলাম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। অর্জন করা শুরু করছি, সেলিব্রেট করা উচিত। আজ থেকে দশ বছর পর হয়ত এইগুলা এত হাইলাইটেড হবে না। তখন আমাদের যারা নতুন খেলবেন তাদের গোলই অন্যরকম হতে পারে। তবে ১১ হাজার এবং ৬ হাজার দুটোকেই হাইলাইট করি আমি। কোনটাকেই ছোট করছি না। দশ হাজার রান যদি এক ফরম্যাটে করি সেটা ভিন্ন কিছু হবে।’
ওয়ানডেতে তামিমের সেঞ্চুরি সংখ্যা ৯টি। সেটা দুই অংকের ঘরে নিয়ে যেতে পারলে তো আরও অনেক ভালো লাগতো। তামিমও মানছেন, ভালো লাগতো। শুধু তাই নয়, তার মতে আরও বেশি সেঞ্চুরি করা উচিৎ ছিল।
তামিম বলেন, ‘সত্যি আমার নিজের কাছে খারাপও লাগে। আমার আরও অনেক সেঞ্চুরি করা উচিত ছিল। হ্যাঁ, সেঞ্চুরির সংখ্যা দুই অংকে যত দ্রুত নেওয়া যায় সেটা আমার লক্ষ্য থাকবে। ডাবল ফিগার দেখতেও ভাল্লাগে, শুনতেও ভাল্লাগে; কিন্তু দিনশেষে বলতে গেলে- ১৭০টার বেশি (১৭৬টা) ম্যাচ খেলে ফেলেছি এবং প্রায় ৪০ টার মতো ফিফটি করেছি। ওইদিকে থেকে চিন্তা করলে এটা হতাশাজনক যে আমার আরও সেঞ্চুরি করা উচিত ছিল।’
টানা দুই ম্যাচে ভালো খেলা এবং রান বেশি করা সত্ত্বেও ম্যাচ সেরা হচ্ছেন না। বিষয়টা ভাবায় কি না তামিমকে। তিনি সে রকম মনে কররেন না। বরং ভালো খেলার দিকেই মনযোগ বেশি। তিনি বলেন, ‘আমি একটা জিনিস সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি সব সময়ই দিতেই বিশ্বাস করি।’
আইএইচএস/আইআই